হিলি দিয়ে পেঁয়াজের যে চালান এসেছে ভারত থেকে তার বেশিরভাগই পচা। তা নিয়েই পড়েছেন বিপাকে। মানহীন পণ্য ফেরত দেয়ার সুযোগ নেই আবার পারছেন না বিক্রি করতেও। ফলে ভারত থেকে আসা পচা পেঁয়াজ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি, ভোমরা ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আসা পণ্যের প্রায় অর্ধেকই ফেলে দিতে হচ্ছে। কিছু পণ্য আবার বিক্রি হচ্ছে পানির চাইতেও সস্তা দরে। অনেকে ফ্রিও নিতে চাইছেন না পচা পেঁয়াজ।
আমদানিকারকরা জানান, মোটামুটি ভালো থাকা কিছু পেঁয়াজ নিচ্ছেন পাইকাররা। তবে দর পাচ্ছেন ৪০ টাকা। আর নষ্ট হয়ে যাওয়াগুলোর ৫০ কেজির বস্তা, ছেড়ে দিতে হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়। কোন কোন বস্তার পণ্য এতটাই পচে গেছে যে, ফ্রি-তেও নিতে চাইছেন না কেউ।
মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরাও। পণ্য কিনতে আড়তে গেলেও নিম্ন মান হওয়ায় এসব পেঁয়াজ নিচ্ছে না কেউ।
একই পরিস্থিতি ভোমরা আর সোনামসজিদ স্থলবন্দরেও। ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ ছেড়ে দিতে হচ্ছে পানির দরে।
আমদানিকারকরা বলছেন, বার বার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ আবার চালুর সিদ্ধান্ত নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। যা নিয়ে গভীরভাবে ভাবা উচিত সরকারের।
১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সমালোচনার ঝড় উঠে সবমহলে। বিষয়টি নিয়ে শক্ত অবস্থান নেয় বাংলাদেশ। অবশেষে নড়েচড়ে বসে দিল্লি। দেশটির বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্তে আটকে থাকা পেয়াজ ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়।
Leave a reply