অবৈধ অস্ত্র-জালনোটের ব্যবসার পাশাপাশি চাঁদাবাজি করে শত কোটির সম্পদের মালিক স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে আটক করেছে র্যাব।
এই টাকায় তুরাগে গড়ে তুলেছেন ২টি ৭ তলা ভবন। আছে- হাতিরপুলে আরেকটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনও। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাস করা এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে র্যাবের কাছে। এরপরই রোববার ভোর রাতে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জালনোট, ১টি ল্যাপটপ ও ১টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
রোববার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালেক অস্ত্র ব্যবহার করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও প্রতারণা আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, গাড়ি চালক আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে অধিদফতরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। বিশেষ করে অধিদফতরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য তার প্রধান কাজ। কোনো কর্মকর্তা যদি আবদুল মালেকের সুপারিশ না শোনেন তাহলে তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করাসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটিয়েছেন একাধিকবার।
কর্মকর্তারা লোকলজ্জার ভয়ে এসব বিষয় কখনও প্রকাশ করেননি। নিজে অধিদফতরের একজন গাড়ির চালক হয়েও আ. মালেক একটি পাজেরো জিপ ব্যবহার করেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের ক্যান্টিন প্রিয় তিনি পরিচালনা করেন। তার রয়েছে তেল চুরির সিন্ডিকেট, স্বাস্থ্য অধিদফতরের যত গাড়ির চালক তেল চুরি করে, তার একটি অংশ তাকে দিতে হয়। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি পুরো অধিদফতর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
ইউএইচ/
Leave a reply