ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীর সোনাগাজীতে প্রেমিকার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা করতে গিয়ে প্রেমিক গ্রেফতার হয়েছে।
এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে পেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে আরিফুল ইসলাম সাকিব। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সক্রিয়কর্মী।
সোমবার সাকিবকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহরাব হোসেনের আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নে এক স্কুল ছাত্রীর সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সাকিব। গত ২৮ আগস্ট ছাত্রীর মা বাড়ি না থাকায় ফাঁকা ঘরে সাকিব মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এরপর বিয়ের আশ্বাসে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সাকিব।
বিয়ের পূর্বশর্ত হিসেবে সে ধর্ষণের দায়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ছাত্রীকে দিয়ে মামলা দিতে ছাত্রীকে থানায় পাঠায়। থানায় মামলা করতে আসলে পুলিশ তাদের কথাবার্তা শুনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছাত্রীটি সত্য কথা স্বীকার করে।
অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীর পরিবারের সাথে পুলিশ কথা বললে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। পরে ছাত্রী বাদি হয়ে সাকিবকে আসামি করে থানায় মামলা করে।
পুলিশ রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে সাকিবকে গ্রেফতার করে। সোমবার দুপুরে ছাত্রীর ২২ ধারা জবানবন্দি ও ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ বলেন, সাকিবকে আসামি করে মামলা করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার ভুক্তভোগীর ২২ ধারা জবানবন্দি ও ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। আসামি সাকিবকে আদালতে তুলে
৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Leave a reply