সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার সকালে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
এর আগে তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের বরাত দিয়ে শুক্রবার রাতে আদ-দ্বীন হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
রাতে ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে এখনও লাইফ সাপোর্টেই রাখা হয়েছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত তিনি। তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
রক্ত শূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেখা দেয়ায় গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। কিন্তু গত শনিবার ১৭ অক্টোবর তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে বাসায় ফিরে যান। দুপুরের পরপরই ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)। ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেতেন না।
বয়োবৃদ্ধ খ্যাতিমান এ মানুষটির বিছানায় শুয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতো। চলাফেরা করতে হুইল চেয়ার আর কর্মচারীরাই ছিল তার সঙ্গী।
Leave a reply