ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়

|

ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখে ব্রণ হওয়াটা খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। লোমকূপের তলায় তৈলনিঃসরণ গ্রন্থি এবং মৃত কোষের জুগলবন্দিতে এই সমস্যা হয়। ব্রণ বেরলে অনেকেই দৌড়ান চিকিৎসকের কাছে। আবার অনেকেই দামি ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিন্তু বাড়িতে হাতের কাছেই রয়েছে এমন অনেক উপাদান, যা দিয়ে অতি সহজে সমাধান করা যায় এই সমস্যার। বিভিন্ন ফল ও ভেষজ উপাদানের প্রাকৃতিক প্যাক ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। আসুন জেনে নেই ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়-

* অ্যালোভেরা-হলুদ প্যাক:
অ্যালোভেরা এনজাইম, পলিসেকারিডস এবং পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। অ্যালোভেরা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের বিষাক্ত উপাদান দূর করে এবং ত্বকে পুষ্টি জোগায়, কোমলতা আনে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে।

হলুদে প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে যা ত্বকে ভালো রাখে। এক টেবিল চামচ হলুদ, মধু, দুধ এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণটি এবার অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

* টক জাতীয় ফলের প্যাক:
লেবু, কমলার মতো টক জাতীয় ফলে অ্যাস্ট্রিনজেন উপাদান রয়েছে। যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। এই ফলের রস মুখে ঘষে ঘরে লাগানোর পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

* দুধ:
চর্বির উপাদানের কারণে এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী। তৈলাক্ত ত্বকে দুধের ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ত্বক আরও তৈলাক্ত হয়।

* মধু:
এটি ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। সব ধরনের ত্বকের জন্যই এটি উপযোগী।

* শসা:
শসার নানা গুণ রয়েছে। তার মধ্যে একটা অবশ্যই ত্বকের কাজে লাগা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এর প্রতিটিই ত্বকের জন্য মারাত্মক ভালো। শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। এছাড়াও শসা গোল গোল করে কেটে অন্তত একঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি খেয়েও নিতে পারেন, বা ওই পানি দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।

* টুথপেস্ট:
ফেসপ্যাকের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট। মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেওয়ায়র ক্ষমতা আছে এই পেস্টের। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে যাদের মুখে ব্রণ বা গোটা বের হয়, তারা টুথপেস্ট ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন।

* গ্রিন টি:
গ্রিন টি গোটা বা ব্রণের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। গরম পানি গ্রিন টি বানান। তারপর সেই গ্রিন টি একদম ঠাণ্ডা করে ব্রণ বা গোটার জায়গায় ব্যবহার করুন। তুলায় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্যাগট থেকে গ্রিন টি বানান, তাহলে ঠাণ্ডা গ্রিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। মিনিট ২০ রাখার পর ধুয়ে নিন।

* অ্যাসপিরিন:
খাওয়ার ওষুধ হিসেবেই নয়, ব্রণ বা গোটা সারাতেও এই ওষুধের জুড়ি নেই। এতে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দেয়। চার-পাঁচটা ট্যাবলেট প্রথমে গুঁড়িয়ে নিন। তারপর সেগুলো অল্প পানির সঙ্গে মেশান। এমনভাবে মেশাবেন, যাতে একটা পেস্ট তৈরি হয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে পেস্ট আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে, কয়েক মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন।

* রসুন:
রসুন ব্রণের বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। এক-দুই কোয়া রসুন দুই টুকরা করে কেটে নিন। তারপর ব্রণের জায়গায় রসটা লাগান। মিনট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন।

* লেবুর রস:
তুলায় করে লেবুর রস ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির মিশ্রণ তৈরি করে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে সেটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নেবেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply