বরিশাল ব্যুরো:
তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার বিকেল ৩টা থেকে কর্মবিরতির ডাক দেয় তারা। এর আগে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি ও কর্মবিরতিপত্র প্রদান করা হয়। এতে বলা হয় দুপুর ২টার মধ্যে তাদের ঘোষিত তিনদফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হবে ইন্টার্নরা।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইন্টার্ন চিকিৎকদের বিরুদ্ধে মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা. মাসুদ খানের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারকৃত অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা।
বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিকেল ৩টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর রেজিষ্ট্রার ডা. মো. মাসুদ খান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
পর দিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন।
এর কয়েকদিন পরে ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ো ১১টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এবং কর্মবিরতির ডাক দেয়। তবে মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, হাসপাতাল পরিচালক ও উপ-পরিচালকের হস্তক্ষেপে আড়াই ঘণ্টার আলোচনা শেষে রাত আড়াইটায় কর্মবিরতি থেকে সরে আসে ইন্টার্নরা। সেসময় ইন্টার্নরা কিছু আল্টিমেটামও বেধে দেয় কর্তৃপক্ষকে।
Leave a reply