প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের; কিন্তু বিশ্বজুড়েই তার কাজের প্রভাব। মার্কিন নির্বাচনের দিকে, তাই সবার নজর। কে হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট- সে প্রশ্নে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি ইউরোপে। নানা কারণে বিতর্কিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চান না ব্রিটিশ, ফরাসি, জার্মানরা। যদিও উল্টো প্রতিক্রিয়া রাশিয়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তির অপেক্ষায় যুক্তরাজ্য-জার্মানি। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহারের পর থেকে ফ্রান্সের সাথে উষ্ণ সম্পর্ক নেই ট্রাম্প প্রশাসনের। সবমিলিয়ে বৈশ্বিক স্বার্থে বাইডেনের জয়ের জন্য উন্মুখ ইউরোপের অনেকেই।
লন্ডনের শিক্ষক এ্যামিলি বেকন বলেন, “মার্কিন অর্থনীতির জন্য ট্রাম্প ভালো। কিন্তু তার দৃষ্টিভঙ্গি সেকেলে। বিশ্ব রাজনীতির হিসাবে বাইডেনকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাইবে সব দেশ। ট্রাম্প নিজেকে নিয়ে ছাড়া কিছু ভাবেন না।”
প্যারিসের শিক্ষার্থী ওসামা আল হাসালি বলেন, “ট্রাম্পের মতো বাইডেন জটিল নন। আগ্রাসী নন এবং সম্পর্ক রক্ষায় আন্তরিক একজন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানই চাইবে ফ্রান্স।
বার্লিনের বাসিন্দা অ্যাক্সেল ওয়াটার বলেন, “বিশ্বে পাগলের অভাব নেই। তাই ট্রাম্পের চেয়ে নিঃসন্দেহে বাইডেন ভালো প্রার্থী। কিন্তু ভয় হচ্ছে যে ট্রাম্পই জিতবেন।”
ট্রাম্পের আমলে বর্ণবাদ ও জাতিবিদ্বেষ বিশ্ব সম্প্রীতিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; এমনও মনে করেন ইউরোপিয়ানরা। বিভক্তির শেকড় আরও গভীর হওয়ার আগেই ট্রাম্পের পতন চাইছেন কেউ কেউ।
লন্ডনের রেস্তোরাঁ মালিক জো পাওয়েলজিক বলেন, “আমেরিকা, ব্রিটেনসহ সারা পৃথিবী, নারী, কৃষ্ণাঙ্গ কারো জন্যই ট্রাম্প সঠিক প্রার্থী নন।”
প্যারিসের ব্যবসায়ী শার্লট পোইরিয়ার বলেন, “কালোদের বিরুদ্ধে সাদাদের, সমকামীদের বিরুদ্ধে ক্যাথলিক ও অন্যান্যদের উস্কে দেয়া ছাড়া কিছু করেনি ট্রাম্প। সে বদ্ধ উন্মাদ। মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষায় ট্রাম্পকে হারানোর বিকল্প নেই।”
২০১৬ সালের নির্বাচনে পুতিন প্রশাসনের সহযোগিতায় জিতেছিলেন ট্রাম্প- এমন বিতর্ক রয়ে গেছে এতদিনেও। একে রাশিয়ার জন্য লাভজনক বলে মনে করে রুশরা।
মস্কোর বাসিন্দা ভ্যাসিলি ইভানোভ বলেন, “আমাদের প্রেসিডেন্ট পুতিন আর ট্রাম্প এক কাতারের মানুষ। আমাদের পক্ষের লোক বলে ট্রাম্প জিতলেই আমাদের জন্য ভালো।”
মস্কোর আরেক বাসিন্দা ইয়েলিনা মাকারোভা বলেন, “আমি ট্রাম্পকে খুব পছন্দ করি। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর তুলনায় তার কথাবার্তা বেশ ভালো। আর বাইডেন তো বুড়ো। রাশিয়ার প্রতি আক্রমণাত্মকও।”
ট্রাম্পের পক্ষে উন্মাদনা লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলে। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত দেশটির কট্টর ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জেয়ার বোলসোনারোর সমর্থকরা ট্রাম্পের হয়ে রীতিমতো প্রচারে নেমেছে।
Leave a reply