ফুটবল মাঠের এককালের দারুণ এক খেলোয়াড় জো বাইডেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে। তবে ছোট বেলায় খেলার মাঠে যতটা সহজ ছিলেন, ততটাই আত্মবিশ্বাস কম ছিলো কথা বলার ক্ষেত্রে। সেই খেলার মাঠ থেকেই পেয়েছেন নেতৃত্ব গুণ। আস্তে-আস্তে উঠে আসেন রাজনীতির মাঠে। দু’বার ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার পর ৭৭ বছর বয়সে ৪৬-তম প্রেসিডেন্ট হলেন যুক্তরাষ্ট্রের।
পুরো বিশ্ব তাকিয়ে থাকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতির কৌশলের দিকে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ও জীবনাচার হয় গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬-তম প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনও তাই গণমাধ্যমগুলোর আতশ কাচের নিচে থাকবেন।
বাইডেন নাকি ছেলেবেলায় কথা বলতে গেলে তোতলাতেন। স্কুল জীবনে জো’র তোতলানো নিয়ে মজা করতো তার সহপাঠীরা।
এ বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন জো নিজেও। জানালেন, ছোট বয়সে আমি ফুটবলে যতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, ততটা আত্মবিশ্বাস আমি কথা বলায় পেতাম না। খেলাধুলা আমার কাছে যেমন স্বাভাবিক ছিল, তেমনি কথা বলায় ছিল অস্বাভাবিকতা। আমি ফুটবলে সত্যি সত্যি দারুণ সফল ছিলাম।
স্কুল জীবনেই পেয়েছিলেন তুখোড় খেলোয়াড়ের তকমা। আমেরিকান ফুটবল ছাড়াও, বেসবলেও পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
জো বাইডেন আর্কমেয়ার একাডেমিতে ভর্তির সময় খেলাধুলার একাধিক ইভেন্টে অংশ নেন। তবে, আমেরিকান ফুটবলে ভালো করায় তাতেই ক্যারিয়ার গড়েন। ১৬ বছর বয়স থেকেই এই ইভেন্টে ভালো ছিলেন বাইডেন। বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন পাসিংয়ের জন্য।
১৯৬৩ সালে ডেলাওয়ার বিশ্যবিদ্যালয়ের হয়ে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন বাইডেন। পরে বাবা-মায়ের চাপে পড়ে বাধ্যতামূলকভাবে খেলা ছাড়তে হয় তাকে।
Leave a reply