টাকা জমানোর কৌশল

|

টাকা জমানোর কৌশল

টাকা জমানোর ইচ্ছা সবারই থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই অর্থ জমাতে পারে না। অর্থ জমাতে গেলে খরচ করার সময় কিছুটা সতর্ক হতে হয়। আবার নানা কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে।

পরিকল্পনা:
দৈনন্দিন আপনার খরচ কত হয় তা একটু চিন্তা করুন। সেখান থেকে আপনি সামান্য কিছু খরচ কমিয়ে জমানো শুরু করলে এক বছর পরে আপনার জমানো টাকা কত হবে ভাবুন। সেটা পাঁচ বছর পর কত হতে পারে? সেজন্য ছোট্ট একটি পরিকল্পনা করুন। এছাড়া আপনার বড় কোনো খরচ থাকলে সেটা কীভাবে সামলাবেন ঠিক করে ফেলুন। আর বর্তমান আপনার যা আয় সেটা সামান্য হলেও কীভাবে বাড়ানো যায় সেই পরিকল্পনা করে এগোতে শুরু করুন।

* ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট:
আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলেই খরচ করতে হবে এমন নয়। খরচ করার আগে চিন্তা করুন আপনার জরুরী প্রয়োজন মেটানোর পর অ্যাকাউন্টে সর্বশেষ কত ছিল। সেটা পরবর্তী মাসে বেড়েছে কিনা। প্রতি মাসে জরুরী প্রয়োজন মিটিয়ে সামান্য হলেও অ্যাকাউন্টে ব্যালান্স বাড়াতে থাকুন।

* ক্রেডিট কার্ডে সতর্ককতা:
ক্রেডিট কার্ড আপনাকে সব সময় ঋণী করে রাখে। তাই এই কার্ড অযথা ব্যবহার করবেন না। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া এড়িয়ে চলুন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটায় আপনাকে বেশিরভাগ সময় সুদ দিতে হবে। যা আপনার পকেট থেকে অহেতুক টাকা বের করে নেয়ার মতো।

* কেনাটাকার আগে ভাবুন:
আপনার কোনো কিছু পছন্দ হয়েছে বলে সেটি কিন্তু মন চাইতে পারে। কিন্তু যেকোনো পছন্দের জিনিস কেনার আগে ভাবুন; এটি না কিনলে আপনার কোনো সমস্যা হবে কিনা বা এটি যে কাজে ব্যবহার করবেন সেই কাজ আপনি অন্য কোনো উপায় সারতে পারেন কিনা। যদি না কিনে পারা যায় তাহলে অহেতুক কেন পয়সা খরচ করবেন? পৃথিবীতে পছন্দের শেষ নেই। তাই পছন্দ হলেই যদি কিনতে থাকেন তাহলে আপনার কেনা কখনোই শেষ হবে না।

* ঋণ শোধ করুন:
যদি আপনি ঋণী থাকেন তাহলে বছরের প্রথম থেকেই শোধ করা শুরু করুন। ঋণ মানুষের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে এবং হৃদয়কে ছোট করে দেয়। আপনি ঋণমুক্ত থাকলে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন। উপার্জন বাড়ানোর জন্য ব্যক্তিত্ব অন্যতম বিষয়।

* বিমা বা ডিপোজিট:
বছরের শুরুতে একটি বিমা বা ডিপোজিট স্কিম শুরু করুন। সেটা আপনার সাধ্যমতো করুন। পরিমাণ যত ছোটই হোক এটি করলে আপনার সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে উঠবে। পরে এটিকে আপনি বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply