সংযুক্ত আরব আমিরাতে শরিয়া আইন শিথিলের ঘোষণায় চলছে নানামুখী আলোচনা। আইন সংস্কারের পর, অনুমোদন মিলেছে মদপান এবং অবিবাহিত নারী-পুরুষের একসাথে থাকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত পশ্চিমা নাগরিকদের আকৃষ্ট করতেই এমন সিদ্ধান্ত আমিরাত সরকারের।
এতোদিন মূলত শরিয়া আইনেই পরিচালিত হতো সংযুক্ত আরব আমিরাত। রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ছিল নানা বিধি-নিষেধ। অবিবাহিত নারী-পুরুষ একত্রে থাকার অনুমতি ছিল না, লাইসেন্স ছাড়া মদপান ছিলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে এ সপ্তাহে, ফৌজদারি ও দেওয়ানী আইনে ব্যাপক পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মর্ধপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক রত্না বেগম বলেন, আইনের সংস্কার আরব আমিরাতের ইতিহাসে বড় মাইলফলক। ভিন্ন মতে সহনশীলতা ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদকে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত, দেশটির নীতিগত ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ইঙ্গিত। যদিও এখনও বেশকিছু বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
আইন পরিবর্তনের ফলে, আরব আমিরাতে দেয়া হচ্ছে লিভ টুগেদারের সুযোগ। মদ্যপান বা আত্মহত্যার চেষ্টা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না দেশটিতে। এক কোটি বাসিন্দার দেশ আরব আমিরাতে, ৯০ শতাংশ মানুষই বিদেশি। বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমাদের স্থায়ীভাবে বসবাসে উৎসাহিত করতেই শিথিল হয়েছে শরিয়া আইন।
এর কারণ বিশ্লেষণ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রত্না বেগম বলেন, মূলত পশ্চিমা উচ্চবিত্তরাই এসব নীতিগত পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। কারণ বিনিয়োগের মূল উৎস তারাই। দক্ষিণ এশিয়া কিংবা আফ্রিকার যেসব নিম্নবিত্ত প্রবাসীরা আমিরাতে কাজ করেন, তারা এর সুযোগ কতটা পাবেন সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে।
কয়েক বছর ধরেই, তেল নির্ভরতা কমিয়ে পর্যটন খাতে জোর দিয়ে আসছে আরব আমিরাত। সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর, দেশটিতে বিনোদন জগতের তৎপরতাও বেড়েছে।
ভিডিও প্রতিবেদন:
Leave a reply