মিষ্টি জাতীয় খাবারেই বেশির ভাগ মানুষ পছন্দ করেন। কিন্তু ডায়াবেটিসের শত্রু এই উপাদানটি। উচ্চমাত্রায় চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণের কারণে উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলাও অসম্ভব। কিছু উপায়ে খাবার থেকে চিনি বাদ দিতে পারেন। আসুন জেনে নেই যেভাবে আপনি খাবার থেকে চিরি বাদ দিবেন-
* সসের পরিবর্তে চাটনি:
ক্যাচআপ সস, মাস্টার্ড সস এবং এ জাতীয় অন্যান্য খাবার যেগুলো বাজার থেকে কেনা হয় স্বাদ বাড়াতে সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ব্যবহার করা হয়। খাবার এবং স্ন্যাক্সে চিনিমুক্ত চাটনি বা সস বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন।
* ফলের ডেজার্ট:
মুখরোচক ডেজার্ট তৈরিতে প্রচুর চিনি ব্যবহার করা হয়। ফল প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি। ডেজার্টে ব্যবহার করা পরিশোধিত চিনির চেয়ে মিষ্টি ফল শরীরের জন্য কম ক্ষতিকর। যেকোনো মিষ্টি ফল ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে কলা, আপেল, কাস্টার্ড আপেলসহ অন্যান্য ফল বেশ উপযোগী।
* খাবারে সুগন্ধী ব্যবহার:
খাবারে চিনির পরিবর্তে মিষ্টি ও সুগন্ধী আনার জন্য দারুচিনি, এলাচি এবং নাটমেগ ব্যবহার করতে পারেন।
* টাটকা খাবার গ্রহণ:
ডেজার্ট এবং আগে রান্না করা খাবার, সংরক্ষিত ফল ও সবজিতে চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টি জাতীয় উপাদান থাকে। তবে টাটকা খাবারে (মৌসুমী শাক সবজি ও ফল) সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
* কোমল পানীয় পরিহার করা:
কার্বোনেটেড পানীয় এবং প্যাকেটজাত জুসে অনেক বেশি চিনির উপাদান থাকে। এগুলোর পরিবর্তে ডাব, লেবু পানি, লাচ্ছি, টাটকা ফলের জুস এবং স্মুদি খেতে পারেন।
* নাশতায় মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দেয়া:
সকালের নাশতায় সিরিয়াল, দই, পোরিড খেয়ে থাকেন। এগুলোর স্বাদ বাড়াতে তৈরির সময় চিনি ব্যবহার করা হয়। এর পরিবর্তে সকালে খেজুর, শুকনো আঙুর এবং টাটকা ফল খেতে পারেন। এগুলো যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি সুস্বাদুও।
Leave a reply