মাসখানেক আগেও চট্টগ্রামে প্রতিদিন করোনা শনাক্তের হার ছিল দেশে মোট শনাক্তের ৭ থেকে ৮ শতাংশ। চলতি মাসে এই হার বেড়ে হয়েছে দ্বিগুন।
রোগী বাড়লেও চট্টগ্রামে অনেকটাই সংকুচিত চিকিৎসার সুযোগ। একটি ছাড়া বন্ধ সব আইসোলেশন সেন্টার। বেসরকারি হাসপাতালে খরচ বেশি বলে ভর্তি হন না অনেকে। ভরসা কেবল সরকারি হাসপাতাল। এর মধ্যে, করোনা চিকিৎসার অন্যতম চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে গত কয়েকদিনে রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুন। ফলে আবারও করোনার শুরুর দিকের মতো সংকট তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা চিকিৎসকদের।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব মাসুম বলেন, এখন যে পরিস্থিতি তাতে সামনে আরও রোগীর চাপ বাড়তে পারে। দেখা গেলো একসাথে অনেকের অক্সিজেন লাগছে, সেই ব্যবস্থা আমাদের নেই। তখন একটা সংকট তৈরি হতে পারে।
করোনা চিকিৎসায় অভিজ্ঞতা এবং সরকারি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা আগের চেয়ে বাড়লেও, অতিরিক্ত চাপ সামলানো কঠিন হবে বলছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী। যমুনা নিউজকে তিনি বলেন, এখন আমরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা ও টেস্টের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। তবে, যে হারে সংক্রমণের শঙ্কা করা হচ্ছে তেমনটা হলে বর্তমান অবকাঠামো ও সরঞ্জামাদি দিয়ে তা মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে যাবে।
চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের হার আবার উর্ধ্বমুখী হওয়ায় জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ। চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ব্যক্তি উদ্যোগের আইসোলেশন সেন্টারগুলো পুনরায় চালুর দাবি তাদের। সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই সমন্বিত প্রস্ততি নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে:
Leave a reply