কিছু কিছু বিদায় স্তব্ধ করে দেয় গোটা বিশ্বকে। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনার মৃত্যু তেমনই। আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিছক একটি দল বা দেশের মাঝে আটকে থাকেননি। ম্যারাডোনা ছিলেন সবার, গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের।
১৯৮৬ বিশ্বকাপ বিশ্ব ফুটবলে আর্জেন্টিনাকে এক প্রকার একক প্রচেষ্টায় জেতান বিশ্বকাপ। সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছিলেন স্বর্ণ পদকও। সেই বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। দুটি গোলই করেছিলেন ম্যারাডোনা। আর সেই গোল দুটিই তৈরি করেছে ইতিহাস। প্রথম গোলটি ছিল আলোচিত-বিতর্কিত ‘হ্যান্ড অফ গড’। এই নাম করণের কারণ হলো বলটি ইংল্যান্ডের জালে ঢুকার আগে ম্যারাডোনার হাতে লেগেছিল। কিন্তু রেফারি সেটিকে হ্যান্ডবল দেননি। কারণ সাধারণ দেখায় মনে হচ্ছিল ম্যারাডোনা বলটি হেড করে গোল দিয়েছেন। পরবর্তীতে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ঈশ্বর তার হাত দিয়ে গোলটি করিয়েছিলেন। সেই থেকে হ্যান্ড অফ গড।
একই ম্যাচে আরও একটি গোল করেন ম্যারাডোনা যেটিকে সেই শতাব্দীর অন্যতম সেরা গোলা ধরা হয়। প্রায় ৬০ মিটার দূর থেকে ড্রিবলিং করে পাঁচজন ইংরেজ ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে করেন একক প্রচেষ্টায় গোলটি করেন তিনি।
২০০২ সালে ফিফাডটকম এর ভোটাররা গোলটিকে শতাব্দীর সেরা গোল হিসাবে নির্বাচিত করে।
Leave a reply