ইরানের পরমাণু প্রকল্পের জনক খ্যাত মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যার চারদিন পেরিয়েছে। শুরু থেকে ইসরায়েলকে দায়ী করলেও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি তেহরান। তবে, নতুন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে। ফাখরিজাদেহকে হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছে, রিমোট বা স্যাটেলাইট চালিত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, এমনটাই বলছে তেহরান। রুহানি প্রশাসনের দাবি, জটিল এ ষড়যন্ত্রে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছে ইরানের বিরোধী দল।
সোমবার, দেশটির নিরাপত্তা প্রধান বলেন, রিমোট বা স্যাটেলাইট চালিত মেশিনগান ব্যবহারের কারণে ফাখরিজাদেহকে বাঁচাতে পারেননি ইরানি গোয়েন্দারা। এ ঘটনায় বিরোধী দল- ন্যাশনাল কাউন্সিল অব রেসিস্ট্যান্স অব ইরানও জড়িত বলে দাবি তেহরানের।
সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিললের সেক্রেটারি আলি শামখানি বলেন, ২০ বছরে অনেকবার ফাখরিজাদেহকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, নতুন ধরনের অস্ত্র ও হত্যাপদ্ধতি ব্যবহার করে এবার উৎরে গেলো শত্রুপক্ষ। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করায় ঘটনাস্থলে হত্যাকারীদের কাউকে উপস্থিত থাকতে হয়নি। ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর সাথে এ অপরাধে ইরানের বিশ্বাসঘাতকরাও জড়িত।
এদিকে, ফাখরিজাদেহ হত্যার নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে, চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার ঘটনায় আমরা সম্ভিত। এই সহিংসতার পূর্ণ তদন্ত দরকার। আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে, এমন যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বেইজিং। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় স্পর্শকাতর এই সময়ে সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
Leave a reply