ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফহোম) থেকে শুক্রবার ভোরে পালিয়ে যাওয়া সাত কিশোরীর মধ্যে আসিয়া (১৪) নামের এক কিশোরীর সন্ধান পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিল মাহমুদপুর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, ঘটনার পরে শুক্রবার ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে সেফহোমের তত্ত্বাবধায়ক রোমানা আক্তার। থানায় দায়েরকৃত জিডির সূত্রে জানা যায়, রাত ১ টায় সর্বশেষ গণনাতেও ঠিক ছিল হেফজতিদের সংখ্যা। কিন্তু শুক্রবার ভোরে বাবুর্চি ৫ নং কক্ষের জানালার গ্রিল ভাঙ্গা দেখতে পেয়ে তত্ত্বাবধায়ক রোমানা আক্তারকে জানান। রোমানা আক্তার অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে পুনরায় গণনা করে দেখতে পান ৭ জন হেফাজতি নিখোঁজ।
নিখোঁজরা হচ্ছে, সাথী আক্তার সোনালী (২২), নাকী আক্তার সুরমা (১৩), আছিয়া (১৪), মেঘলা (১৪), তামান্না আক্তার (১৬), ময়না (২০) ও আলিশা আক্তার তারা (২০)। এর মধ্যে আছিয়াকে আজ শনিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।
সেফহোমের তত্ত্বাবধায়ক রোমানা আক্তার জানান, তার তত্ত্বাবধায়নে ৭২ জন হেফাজতি রয়েছে। শুক্রবার ভোরে ৭ জনের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তিনি জানান, একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ফরিদপুর সমাজসেবা অধিদফতরের উপ পরিচালক আলী আহসান জানান, এই স্থাপনা গুলো নির্মাণ করা হয়েছিল শান্তিনিবাসের জন্য। পরে এখানে হেফাজতিদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এখানে সীমানা প্রাচীর একদমই নিচু, যে কেউ ইচ্ছে করলে টপকাতে পারবে। আর দরজা-জানালার গ্রিলসমূহ খুবই পাতলা ও দুর্বল, সহজে ভাঙ্গা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, এখানে হেফাজতিদের রাখা হলেও সমাজসেবার নিজস্ব কোনো রক্ষী বাহিনী নেই, আনসার ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দেখভাল করেন। এসব কারণেই এই কিশোরীরা সহজে পালাতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বাকি কিশোরীদের উদ্ধারে পুলিশের সাথে সমাজসেবা কার্যালয়ও কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ইউএইচ/
Leave a reply