নতুন ১৮টি শাখা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লোকসানে থাকা বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এর পাশাপাশি চালু করা হবে উপশাখা, এজেন্সি ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম। ব্যাংকটিকে গতিশীল করতেই এই উদ্যোগ বলে জানান ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আবুল হাশেম। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগে ব্যাংকের লোকসানের পাল্লা আরও ভারি হবে।
দুর্নীতি আর অনিয়মে ডুবতে বসেছে বেসিক ব্যাংক। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু একাই শেষ করে দিয়েছে লাভ জনক অবস্থানে থাকা রাষ্ট্রায়াত্ত্ব এ ব্যাংকটিকে।
অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের অর্ধের বেশিই এখন খেলাপি। যার পরিমাণ সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর বড় অংশই আদায় অযোগ্য। নড়বড়ে অবস্থানের কারণে প্রভিশন সংরক্ষণে ঘাটতির পরিমাণ বেড় দাড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটিতে। বছরে অন্তত সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে ব্যাংকটি। এর মধ্যেও উপ শাখা খোলার পাশাপাশি ব্যাংকের শাখা সম্প্রসারণের চিন্তা করছে ব্যাংকটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমেজ সংকটে থাকা বেসিক ব্যাংকের নতুন শাখা খোলার চিন্তা না করে খেলাপি আদায়ে মনোযোগ দেয়া উচিৎ। ক্ষতি কমাতে লোকসানী শাখা বন্ধ করে দেয়ারও পরামর্শ তাদের।
বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দাবি, অফিস ভাড়া ছাড়া নতুন শাখা খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকের আর কোন ব্যয় নেই। বাড়তি জনবল দিয়েই পরিচালনা করা হবে নতুন শাখা উপশাখা।
ইমজে সংকটে থাকলেও সরকারি ব্যাংকের প্রতি সাধারণ গ্রাহকদের আস্থাহীনতার কোন কারণে নেই। বলেও মন্তব্য করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আবুল হাসেম।
Leave a reply