মাঠে ওরা গায় এগারো জন, কিন্তু সুরে লুকিয়ে থাকে ১৬ কোটি মানুষের প্রাণ। পৃথিবীর বুকে লাল-সবুজ জার্সির এই বুকটা যেন বাংলাদেশর জমিন। ২০১৫ বিশ্বকাপের এই জার্সি নজর কেড়েছিলো, ক্রিক-ইনফোর ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলো সেরা। সুন্দরবনের থিমে সেই জার্সির ডিজাইন করেছিলেন সেজান লিঙ্কন। ২০১১, ১৪ বিশ্বকাপেও যার হাতের স্পর্শে তৈরি হয় সাকিব-মাশরাফীদের জার্সি।
সেজান লিঙ্কন যমুনা নিউজকে জানান,জার্সি ডিজাইন আমার বিজনেস নয়। এটা আমি করি সখ ও প্রচণ্ড ভালোবাসা থেকে। ২০১৮ সালে আমি একটি নতুন থিম নিয়ে গিয়েছিলাম বিসিবির কাছে তখন আসলে বিসিবির সময়টা ছিলো না তাই সেটা নিয়ে আগানো যায়নি। সেই জার্সির থিমটা ছিলো বর্ণমালা নির্ভর।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কদিন আগেই পরেছিলে বিশেষ জার্সি। নিজস্ব সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের আদলে তৈরি যে জার্সি সাড়া ফেলেছিলো। বাংলাদেশের সামনেও রয়েছে এমন একটি সুযোগ। ২০২১ সালে পালন হবে স্বাধীনতার ৫০ বছর। সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে সাকিব-মুশফিকরা পরতে পারেন বিশেষ আইকনিক জার্সি। থিমটা তৈরি করেছেন সেই সেজান লিঙ্কনই।
তিনি বলেন এবার আরাম থিমটা হলো জার্সির মাধ্যমে পুরো বিশ্বে বর্ণমালাটাকে পৌঁছে দেয়া। সেই জার্সিতে থাকবে বাংলাদেশের মানচিত্র এবং স্বাধীনতা। আরও একটা জিনিস যেটা বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার বেজ জয় বাংলা স্লোগান। সেটিকে রেখেই ভাষার প্রত্যেকটা এলিমেন্টকে থ্রিডি মুভমেন্ট করা হয়েছে সেটার মধ্যে।
বিশেষ সেই জার্সি পরে সারা বছর খেলবে বাংলাদেশ। এমনকি বিশ্বকাপও। এতে কোরে পরোক্ষভাবে হলেও বিশ্বাসীর কাছে পৌঁছে যাবে বাঙালীয় গৌরবগাঁথা। এমন ধারণা মনে ধরেছে বিসিবিরও। এব্যাপারে বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস যমুনা নিউজকে বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে এর চাইতে আর বড় কিছু হয়তো আমাদের সামনে নেই। জার্সির থিমটি আমাদের পছন্দ হয়েছে আমরা বোর্ড প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলে এই বিষয় নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছব আশা করি।
আর লিঙ্কন জানালেন তার কাছে সব কিছু প্রস্তুত করা রয়েছে। বিসিবি যদি আমাকে এই মুহূর্তে বলে তাহলে আমি এখনই তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে পারবো।
দেশের সবথেকে জনপ্রিয় ইভেন্ট ক্রিকেট, আর সেই ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন সাকিব-তামিমরা। সেই টাইগাররা স্বাধীনতার থিমে জার্সি পরে তুল ধরবেন বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছরকে। এমন গর্বের উপলক্ষ্য সাজিয়ে তোলার সুযোগ কি হাতছাড়া করবে বিসিবি?
Leave a reply