তবুও ‘গোঁয়ার গোবিন্দ’ ট্রাম্পকে অপসারণ করতে চান না পেন্স

|

এক ডোনাল্ড ট্রাম্প উল্টেপাল্টে দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঐতিহ্য, রীতি। বারবার অভিশংসন প্রস্তাব আসছে এই বিদায়ী রিপাবলিকার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। তবে তাতে যেন কোনো বিকার নেই ‘গোঁয়ার গোবিন্দ’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া ট্রাম্পের। উল্টো ভাইসপ্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সমর্থন পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে ক্যাপিটল ভবনে হামলার দায় অস্বীকার করেছেন তিনি। এখন দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। সূত্র: সিএনএন, এএফপি।

সংবিধানের ২৫-তম সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে মাইক পেন্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যরা। 

কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে পেন্স বলেন, আমি মনে করি না, এই পথে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে আমাদের দেশের জন্য সর্বোচ্চ স্বার্থ রয়েছে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ২৫-তম সংশোধনী কার্যকর করবেন না। এটি ভয়ঙ্কর নজির তৈরি করবে।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে এক চিঠিতে এ কথা বলেন তিনি।

এই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পেলোসি দ্রুতই তার ব্যবস্থাপককে অভিশংসন বিতর্ক আয়োজনের নির্দেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

আইনপ্রণেতা জ্যামি রাসকিনের নেতৃত্বে ৯ আইনপ্রণেতাকে নিয়ে অভিশংসন কমিটি গঠন করেছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এসব আইনপ্রণেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের জন্য যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।

ক্ষমতার বাকি মেয়াদে ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকেই কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। অভিশংসনের পরিবর্তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এক ধরনের হালকা ব্যবস্থা। পেনসিলভানিয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক এ প্রস্তাব তোলেন।

২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ নেবেন। ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে আর প্রেসিডেন্ট পদেও নেই। 

গত ৬ জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় নভেম্বরের নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী দাবি করে সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তখন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয়কে স্বীকৃতি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। এ সময় সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনের দিকে কিছু একটা করার ব্যাপারে উসকানি দেন ট্রাম্প। তাদের প্রতি ‘লড়াই’ করার আহ্বান জানান।

দাঙ্গাকারীরা ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। ঘটে প্রাণহানিও। এ সময় হাউসের অধিবেশন স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন অধিবেশনের সভাপতি মাইক পেন্স। এরপর থেকে ট্রাম্পের ওপর সবাই ক্ষ্যাপা। তাইতো আর ৭দিনও তাকে দায়িত্বে দেখতে চাইছেন না বেশিরভাগ কংগ্রেসম্যান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply