বগুড়া ব্যুরো:
আটকের প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর জামিন পেয়েছেন বগুড়ার বহুল আলোচিত মা-মেয়ের মাথা মুণ্ডন করে নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার।
রোববার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১’র বিচারক একেএম ফজলুল হক তুফান সরকারে জামিনের আদেশ দেন।
মাধ্যমিক পাশের পর ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকার।
২০১৭ সালের ২৮ জুলাই তুফানের স্ত্রী আশা এবং স্ত্রীর বোন বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি ধর্ষণের শিকার মেয়ে এবং তার মাকে বাড়িতে তুলে এনে বেধড়ক মারপিট করেন। নাপিত ডেকে মাথাও মুড়িয়ে দেয়া হয় সেই মা এবং মেয়ের।
পরদিন মেয়েটির মা বাদি হয়ে অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং মারপিটের অভিযোগে দু’টি মামলা করলে ওই দিনই তুফান সরকারকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার হন কাউন্সিলর রুমকিসহ মামলার অন্য আসামিরাও।
গত কয়েক বছরে মামলার ১২ আসামি বিভিন্ন সময়ে জামিন পেলেও ৩ বছর ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন প্রধান আসামি তুফান সরকার। এর আগে উচ্চ আদালতে একাধিকবার চেষ্টা করেও জামিন মেলেনি তার। তবে সর্বশেষ রোববার বগুড়ার আদালতে জামিন পেয়েছে দেশব্যাপী আলোচিত এই মামলার প্রধান আসামি।
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জি যমুনা নিউজকে জানান, আসামিপক্ষ জামিন আবেদন করলেও এবারও তারা বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু তারপরও আদালত জামিন দিয়েছেন।
‘আসামির প্রতি এখন কোনো ক্ষোভ নেই’- রোববার আদালতে মামলার বাদি এমন বক্তব্য দেয়ায় তাদের ধারণা, মামলাটি নিয়ে উভয়পক্ষ আপোষ-রফার চেষ্টা করছে।
Leave a reply