অভিযোগকারী সেই নারীর বিরুদ্ধে অভিনেতা তৌসিফের পাল্টা জিডি

|

অভিযোগকারী সেই নারীর বিরুদ্ধে পাল্টা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেন অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় শামসুন্নাহার কনা নামে সেই নারীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন তিনি।

অভিনেতার অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ শামসুন্নাহার কনা এনেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন তৌসিফ।

তৌসিফ তার জিডিতে উল্লেখ করেন, ‘অদ্য ১৭/০১/২০২১ তারিখে ১২টা ২০ মিনিটে প্রথম আলোসহ আরও কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা মারফত জানতে পারি, শামসুন্নাহার কনা (৩৬) নামের জনৈক গৃহিণী ১৬/০১/২০২১ তারিখ সকালে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। উক্ত সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন যে আমার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে আমার সঙ্গে পরিচিত হয়ে আমাকে বিকাশ ও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ব্যাংকে অর্থ প্রদান করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন করে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উক্ত জিডিটি আমার বিরুদ্ধে লিপিবদ্ধ করেন।’

পুলিশ জানায়, ভোরে এই জিডি করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন তেমন কোনো কিছু জানা যায়নি।

তবে তৌসিফের করা জিডির বিষয়ে শামসুন্নাহার কনার অবগত আছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার কাছে কল রেকর্ডসহ সব ধরণের তথ্যপ্রমাণ আছে। এর বেশি আর কিছু বলার নেই।

এর আগে শনিবার ছোটপর্দার অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শামসুন্নাহার কনা নামের এক গৃহিণী।

তবে গৃহিণীর অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন তৌসিফ। অভিযোগের উপযুক্ত প্রমাণ দিতে না পারলে ওই গৃহিণীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও কথা জানান তৌসিফ। এরইমধ্যে পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে ফেসবুকে ১৮ মাস আগে পরিচয় হয় শামসুন্নাহার কনার। পরিচিত হওয়ার পর গত ছয় মাস আগে একটি নম্বরে গৃহিণীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন তৌসিফ। এরপর তিনি তৃতীয় পক্ষ শাহরিয়া হোসেনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক, সাহাপুর শাখা, চাটখিল, নোয়াখালী অ্যাকাউন্ট নম্বরের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে আরও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার পর তৌসিফ ওই গৃহিণীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেননি।

শামসুন্নাহার কনা দাবি করেন, তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। এরপর মডেল বানানোর কথা বলে বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন তৌসিফ।

তবে এ বিষয়ে তৌসিফ জানান, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি সবসময়ে আমাকে ফোন দিয়েই যাচ্ছেন। আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমাকে বিব্রতকর বিভিন্ন মেসেজ পাঠান। আমি একাধিক নম্বর ব্লক করি। আজ শুনি তিনিই আমার বিরুদ্ধে জিডি করেছেন!


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply