সেবারের সাথে এবারের পার্থক্য রয়েছে বেশ। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তরুণ সদস্য ছিলো সাকিব, তামিমরা। মাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছেন এমন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ও ছিলো টাইগারদের দলে।
তবে তখনকার উইন্ডিজ দল ছিলো বেশ শক্তিশালী। সেই সময় টাইগারদের লক্ষ থাকতো প্রতিপক্ষের সাথে লড়াকু ক্রিকেট খেলে যদি দুই একটা ম্যাচ জিততে পারে, তাতেই খুশি দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সমর্থকরা। আর সেই লড়াকু ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেই ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম দুই ওয়ানডেতে উইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে সিরিজ খুইয়েছিলও বাংলাদেশ।
প্রেক্ষাপট পাল্টেছে, প্রায় ১০ বছর পরের বাংলাদেশ এখন মাঠে নামে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিতে। প্রতিপক্ষের নাম এখন আর টাইগার শিবিরে আতঙ্ক তৈরি করতে পারে না। সফরকারী উইন্ডিজের বিপক্ষে গেল দুই ম্যাচেই হয়তো তার প্রমাণ পেয়েছে ক্রিকেট ভক্তরা।
উইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ নিয়ে এত কথা বলার কারণ একটাই, সেটি হলো ২০১১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই ওয়ানডেতে উইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে চট্টগ্রামে গিয়েছিলো টাইগাররা। সিরিজ হার তো আছেই, সাথে ছিলো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে উইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা। সেই প্রতিশোধটা খুব ভালোভাবেই নিয়েছিলো বাংলাদেশ। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে উইন্ডিজের বাঘা-বাঘা ব্যাটাদের নাকানিচুবানি খাইয়ে মাত্র ৬১ রানে অলআউট করেছিলো বাংলাদেশ।
উইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাটিতে সেটাই প্রথম ও শেষ ওয়ানডে ছিলো বাংলাদেশের। প্রায় ১০ বছর পরে উইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাটিতে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে টাইগাররা মাঠে নামবে সোমবার। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এবার ঘটেছে উল্টো ঘটনা, সিরিজের দুই ম্যাচে সফরকারীদের উড়িয়ে দিয়েই চট্টগ্রাম গেছে বাংলাদেশ।
১০ বছর আগের উইন্ডিজ দলের চাইতে শতভাগ দুর্বল দল পাঠিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম দুই ম্যাচে হেসে খেলে জিতেছে বাংলাদেশ।
রোববার বিকেলে, সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে কোন রকম ছাড় পাবে না উইন্ডিজ এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে টাইগারদের ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল। তবে কী এই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে প্রায় ১০ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে করিয়ে ফন্দি আঁটছে টাইগাররা? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই মিলবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সোমবার পর্যন্ত।
Leave a reply