সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ে না সঞ্জয় লীলা বনশালির। ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘পদ্মাবত’-এর পর এবার মুক্তির আগেই বিতর্কে জড়িয়েছে ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিওয়াড়ি’।
সত্য ঘটনার অবলম্বনে তৈরি হওয়া এই সিনেমায় গাঙ্গুবাই যে অঞ্চলে থাকতেন সেই কামথিপুরার মানুষের থেকেই এসেছে অভিযোগ। তাদের অভিযোগ সিনেমায় যেভাবে কামথিপুরাকে দেখানো হয়েছে তা একেবারেই সঠিক নয়।
সিনেমায় এলাকাটিকে মুম্বাইয়ের বিখ্যাত রেড লাইট এলাকা হিসেবে দেখানো হয়েছে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও মানহানিকর বলে জানিয়েছেন কামথিপুরার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, ২০০ বছরের কামথিপুরার ইতিহাসকে ছোট করা হয়েছে যা মানহানিকর। এই সিনেমা কামথিপুরার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কিছু মানুষ যদি অন্যকে সমস্যার মধ্যে ফেলে টাকা আয় করার চেষ্টা করে কামথিপুরা চুপ করে বসে থাকবে না। এলাকার মানুষরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করবে।
সিনেমাটি ষাটের দশকের ‘মুম্বাই মাফিয়া কুইন’ এর জীবনীর ওপর নির্মাণ করা হয়। যার নাম শুনলেই মুম্বাইয়ের বড় বড় মাফিয়াদের পা কাঁপতে শুরু করতো। লেখক হুসেইন জাইদির লেখা ‘মুম্বই মাফিয়া কুইন’ বই অবলম্বনেই ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’ সিনেমাটি তৈরি করেছেন সঞ্জয়লীলা বনশালি। ইউটিউবে সিনেমাটির টিজার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে অপেক্ষা শুরু হয়ে গেছে। বড় পর্দায় আলিয়াকে দর্শক এই রূপে কতোটা গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Leave a reply