দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ভারসাম্য ও তথ্য প্রযুক্তিখাতে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হলো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র এবারের ঢাকা সফরে। আর নতুন তিনটি সীমান্ত হাটসহ দুই শীর্ষ নেতা যৌথভাবে উদ্বোধন ও উন্মোচন করেছেন কয়েকটি প্রকল্প।
এছাড়াও রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সৈনিকদের সম্মানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করতে তার কার্যালয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় অতিথিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পনের মিনিটের একান্ত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন উপমহাদেশের দুই শীর্ষ নেতা। পরে প্রতিনিধি দল নিয়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর্স, বাণিজ্য ভারসাম্য, খেলাধুলা ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেন দুই দেশের নীতিনির্ধারকরা।
তিনটি বর্ডার হাট, শিলাইদহে রবীন্দ্র ভবন, বঙ্গবন্ধু বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী, কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী ডাকটিকেট উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্পের ৫টি প্যাকেজ ও একাত্তরে শহীদ ভারতীয় সেনাদের সম্মানে আশুগঞ্জে তৈরি হতে যাওয়া স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রতীকী কোভিড টিকা ও ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তারপর এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইটে রাতেই ঢাকা ত্যাগ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Leave a reply