ডি-এইট বা উন্নয়নশীল আট দেশের জোট এর সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার বছরের জন্য সংগঠনটির সভাপতিত্ব করবেন তিনি।
ডি-এইট রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের দশম সম্মেলন গত ৫ এপ্রিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুরু হয়। এই জোটের শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। করোনার কারণে এবার সম্মেলন অনলাইনে হলেও বাংলাদেশ এবারের সম্মেলনের স্বাগত দেশ।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়া মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের শীর্ষ নেতারা এই বৈঠকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যোগ দেন। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পেয়েছে।
সম্মেলনে গত তিন বছরেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ডি-এইট নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় ডিএইট এর বিদায়ী সভাপতি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান নতুন সভাপতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সম্মেলনে উন্নয়নশীল আট দেশের জোটের সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানদের স্বাগত জানান নতুন চেয়ার শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অর্থনীতি, বাণিজ্য, পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে এই জোটের পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এসময় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা সংকট থাকলেও তিন বছর আগে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তাদের প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত দশম ডিএইট সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। কাজে লাগাতে হবে যুবদের সম্ভাবনাকে।
Leave a reply