সক্ষমতার অর্ধেকও করোনা পরীক্ষা হয় না পিসিআর সেন্টারগুলোতে

|

সক্ষমতার অর্ধেকও করোনা পরীক্ষা হয় না পিসিআর সেন্টারগুলোতে। অথচ প্রতিদিনই নানান উপসর্গ নিয়ে নমুনা দিতে আসা মানুষের সারি বাড়ছেই। নমুনা দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের মত, উপসর্গযুক্ত সবাইকে দ্রুত পরীক্ষার আওতায় আনা দরকার। প্রয়োজনে এন্টিজেন টেষ্ট বাড়ানোর তাগিদ তাদের।

করোনা পরীক্ষার জন্য ঘন্টা তিনেক লাইনে দাড়িয়ে আব্দুল আলিম। কিন্তু তার সিরিয়াল আসতে আসতে দিনের কোটা শেষ মুগদা হাসপাতালে।
আলিমের মতো দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফিরে যান অনেকেই। যাদের জ্বর ঠান্ডাসহ করোনার নানা উপসর্গ রয়েছে।

মুগদা হাসপাতালে একটি আরটিপিসিয়ার মেশিন রয়েছে। যেখানে দুইবারে প্রায় ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় প্রতিদিন। তবে এর উল্টো উদাহরন আছে সরকারী প্রতিষ্ঠানেই। ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফালের সেন্টারের পাচটি মেশিনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একেকটি পিসিআর মেশিনে পরীক্ষা হয় গড়ে সাতশো নমুনা। সেখানে সরকারী অন্য ৫০টি হাসপাতাল ও সেন্টারে গড়ে দেড়শোর বেশি পরীক্ষা হয়না।

সিএমএসডির পরিচালক জানান, পিসিআর কিটের সংকট নেই। হাসপাতালগুলো চাইলে দ্বিগুন কিট সরবরাহ করতে পারবেন তারা। সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ঠেকাতে রোগ নির্নয় করা জরুরী। এক্ষেত্রে সক্ষমতার পাশাপাশি সদিচ্ছার ঘাটতি আছে বলেও মনে করেন সাবেক এই পরিচালক। পিসিআর মেশিনে জনবল ও এন্টিজেন টেষ্ট বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

একটি পিসিআর মেশিনে একবারে ৯০টির এর বেশি করোনা পরীক্ষা করা যায়। অভিজ্ঞরা বলছেন, দিনে তিনবার মেশিন চালানো হলে এই সংখ্যা তিনগুন বাড়ানো সম্ভব।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply