কেমন ছিলো তামিম ও মুমিনুলের লড়াই?

|

শ্রীলঙ্কায় নিজেদের মধ্যে দুই দলে ভাগ করে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথ মদিন ব্যাটাররা দাপট দেখালেও দ্বিতীয় দিনে ঠিকই ভালো করেছে বোলাররা। মেহেদী মিরাজের তিন উইকেট নেওয়ার পর তামিমের লাল দলের করা ৩১৪ রানের জবাবে ২২৫ রান তোলে মুমিনুলের সবুজ দল। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করে অবসরে যান লিটন দাস।

কাট্টুনায়েকেতে বাংলাদেশ দলের নিজেদের মধ্যে প্রথম দিনে ব্যাট হাতে দারুন পারফর্ম করেছিলো তামিম ইকবালের লাল দল। ৫ ব্যাটসম্যানই স্বেচ্ছায় অবসর নেবার ম্যাচে ৬ উইকেটে ৩১৪ রান করেছিলো লাল দল। ফিফটি করেছিলেন তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।

ব্যাটসম্যানদের এই পারফরম্যান্স সন্তুষ্টির হলেও, মূদ্রার ভিন্ন পিঠও আছে। কারন টেস্ট দলের নিয়মিত ৩ বোলার তাইজুল, মিরাজ ও আবু জায়েদ রাহি ছিলেন লাল দলে। তাদের সঙ্গি তাসকিন আহমেদ ও খালেদ আহমেদ।

তাইতো দ্বিতীয় দিন ছিলো ব্যাটসম্যানদের মূল চ্যালেঞ্চ। সবুজ দল ব্যাটিং করতে নেমে লাঞ্চের মধ্যেই ৮৯ রানে হারায় তিন উইকেট। অধিনায়ক মুমিনুল শূন্য, ওপেনার সাদমান ১৯, আর ইয়াসির রাব্বি ফেরেন ১৫ রান করে। দুই উইকেট টেন মেহেদী মিরাজা। অবশ্য লিটন দাস ২৭ রান করে চোট নিয়ে ফেরেন সাজঘরে।

দ্বিতীয় সেশনে চোট কাটিয়ে আবারো ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন। দ্বিতীয় দফা ব্যাটিং করতে নামেন প্রথম বার ডাক মেরে ফেরা মুমিনুল হক। এই সেশনে লিটন-মুমিনুলের কল্যাণে ভালোই করে সবুজ দল।

তবে শেষ সেশনে আবারো দাপুটে ছিলো বোলাররা। মিরাজ তিন, রাহি ও তাইজুল একটি করে উইকেট নিলে ২২৫ রানে অলআউট হয় মুমিনুলের দল। সবোর্চ্চ ৬৪ রান করেন অবসরে যান লিটন দাস।

রোববার সকালে ক্যান্ডি পাড়ি দেবে বাংলাদেশ দল। নেগেম্বো থেকে সড়ক পথে ক্যান্ডি যেতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার সময় লাগবে টাইগারদের।

এদিকে শ্রীলংকা বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজের ধারাবাষ্যকারদের তালিকা চুড়ান্ত করেছে স্বাগতিক বোর্ড। তিন লঙ্কান রাসেল আর্নল্ড, রোশানা আবেসিংহা ও পারভের মাহরুফের সঙ্গে থাকবেন পাকিস্তানের আমির হোসেল আর বাংলাদেশের শামিম আশরাফ চৌধুরী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply