নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের মহাজন বাজারে এক চাল ডিলারের কাছ থেকে ৫৮ বস্তা মোটা চাল জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এই চাল সরকারি কোনো গুদামের কিনা তা যাচাই-এর জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়া উপজেলার মাউলী ইউনিয়নের মহাজন বাজারের এই চাল বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রথমে ১৭ বস্তা আটক করে প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে অন্য একটি দোকান থেকে আরও ৪১ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
মাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহাজন বাজারের ব্যবসায়ী
প্রশান্ত স্বর্ণকার ও উত্তম সাহা জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এক ভ্যানচালক তার ভ্যানে করে ১৭ বস্তা চাল বাজারের সমস্বের সাহার দোকানে বিক্রি করতে আনে। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হলে ভ্যানচালককে জেরা করলে তিনি এসব বিপ্লব বিশ্বাসের বলে জানান। পরে নড়াগাতি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ১৭ বস্তাসহ পার্শ্ববর্তী মনোষা ট্রেডার্সের টিনের দোকান থেকে আরও ৪১ বস্তা চাল, বস্তা সেলাই করা ভ্রমর, খালি বস্তা, সুতালি এবং চাল পরিমাপ করার মেশিন উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এ মোটা চাল সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল। কালোবাজারে বিক্রির জন্য এ চাল আনা হয়েছিল।
নড়াগাতী থানার এসআই মনিরুজ্জমান জানান, বিভিন্ন কোম্পানির সিলযুক্ত ৫৮ বস্তা চাল স্থানীয় জনগণ আটক করে আমাদের খবর দেয়। এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বড়দিয়া খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি দিবাকর বিশ্বাস জানান, জব্দকৃত চালের সাথে আমাদের গুদামের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি অর্থাৎ ১০ টাকা কেজির চালের স্যাম্পলের মিল নেই।
এদিকে, চাল ডিলার বিপ্লব বিশ্বাস জানান, এ চাল খুলনা থেকে ব্যবসার উদ্দেশে আনা। তার রশিদও রয়েছে। তাছাড়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় যে চাল দেয়া হয়েছে তার পরিমাণও ঠিকঠাক মতো রয়েছে। এটা তার বিরুদ্ধে স্থানীয় কিছু মানুষের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন।
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হুদা জানান, এ চাল সরকারি
কোনো খাদ্য গুদামের কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিছু নমুনা রাখা হয়েছে।
এ চাল স্থানীয় মাউলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply