নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে পুলিশ দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের ১জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ এপ্রিল) রাত ১১টায় নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে পুলিশ সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মো.পলাশের (৩৩), মরদেহ উদ্ধার করে। ঐদিন সন্ধ্যায় উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পলতী মঙ্গল গ্রামের পশ্চিম পাড়ার হাশেম মিয়ার বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
থানা সূত্রে জানা যায়, পলাশ পেশায় একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী কিছু দিন আগে বাবার বাড়িতে চলে যায়। একপর্যায়ে সে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসতে অপারগতা প্রকাশ করে। এই নিয়ে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে রোববার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে সে বসতঘরের একটি কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের সদস্যরা তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। সোমবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার চাটখিল উপজেলা থেকে পুলিশ কোহিনুর আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এর আগে সে পারিবারিক কলহের জেরে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রাজ্জাকপুর ইউনিয়নের বেপারী বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী ইয়াকুব হোসেন মোহনকে (৩২) আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কহিনুর আক্তার দু’সন্তানের জননী ছিল। শাশুড়ির সাথে পারিবারিক কলহের জেরে তার প্রায় ঝগড়া বিবাদ লাগত। শাশুড়ির সাথে দ্বন্দ্বের জেরে সে যৌথ পরিবার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার জন্য স্বামীকে চাপ প্রয়োগ করে। স্বামী পৃথক হতে অসম্মতি জানায়।
এক পর্যায়ে গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। পরে তার স্বামী বাজার থেকে এসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ নিহতের স্বামী মোহন তাকে হত্যা করেছে।
চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Leave a reply