বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুক্রবার (৭ মে) জরুরি ব্যবহারের জন্য চীনের সিনোফার্মের উৎপাদিত ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে। দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ডব্লিউএইচও জরুরি ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
ডব্লিউএইচও সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন সরবরাহে সমতার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে উল্লেখ করে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। এই অনুমোদনের ফলে সিনোফার্মের এই ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
যখন ধনী রাষ্ট্রগুলো ভ্যাকসিন মজুদ করার মানসিকতা দেখাচ্ছে, এমনকি অন্যতম বৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী দেশ ভারত নিজেদের দেশের করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ভ্যাকসিন রফতানি বন্ধ করে রেখেছে, তখন সিনোভ্যাককে অনুমোদন দেওয়ায় গরীব দেশগুলো করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ডোজ প্রয়োগ করা বন্ধ রেখেছে অথবা তাদের প্রয়োগনীতি পরিবর্তন করেছে। ভ্যাকসিন বন্ধ রাখা এসব দেশগুলোতেও এই ভ্যাকসিন কার্যকর প্রভাব ফেলবে বলে ডব্লিউএইচও মনে করে।
বিশেষজ্ঞরা নতুন এই চীনা ভ্যাকসিনের অনুমোদনপ্রাপ্তিকে গেমচেঞ্জার হেসেবে দেখছেন।
Leave a reply