ঢাকা টেস্টের ৩য় দিন শেষে জয়ের দরজা খোলা দু’দলের জন্যই। ৪র্থ দিন আরও ১৫৬ রান করতে মাঠে নামবে অজিরা, অন্যদিকে বাংলাদেশের চাই ৮ উইকেট। তৃতীয় দিন চা বিরতির পর ২২১ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ২য় ইনিংস। ফলে ২৬৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় সফরকারীদের সামনে। ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ২ উইকেট হারালেও ওয়ার্নারের অপরাজিত ৭৫ রানে ২ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
শেষ বিকেলের ৩০ ওভারই যথেষ্ট ছিলো ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণের জন্য। রেনশ’ ও খাজাকে ফিরিয়ে দারুণ সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। আক্রমণাত্নক ওয়ার্নারকেও শুরুতে থামিয়ে দেয়া যেতো। কিন্তু সৌম্য সরকার ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। ৩ রানে ফিরতে পারতেন অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, বেঁচে যান ইমরুলের ব্যর্থতায়।
জীবন পাওয়া দুই ব্যাটম্যানই এখন টাইগারদের গলার কাঁটা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছে ওয়ার্নার (৭৫) আর স্মিথ অপরাজিত ২৫ রানে।
দিনের শুরুতে তাইজুল ইমরুল ফিরলেও প্রথম সেশনে তামিমের ব্যাটে ছড়ি ঘুরায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের ৭১ রানের পর আবারও ফিফটি। হাবিবুল বাশারের সাথে ৬ টেস্টের দুই ইনিংসে অর্ধশত রানের রেকর্ড গড়েন এই বা’হাতি ব্যাটসম্যান।
ব্যাকফুটে থাকা অজিরা দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরে আসে। ৭৮ রানে প্যাট কামিন্সের দারুণ ডেলিভারিতে খেই হারান তামিম। ভাঙ্গে মুশফিকের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ৬৮ রানের জুটি। সাকিব আজ ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও মুশফিক করেন ৪১। কিন্তু অধিনায়কের বিদায়ের পরই তিনশো রানের লিডের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে।
দলীয় ১৮৬ রানের সময় ৩ ব্যাটসম্যান ফিরলে বিপর্যয়ে পরে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে লিড আড়াইশো পেরোয় মূলত মিরাজের ব্যাটে। নাথান লায়ন নিয়েছেন ৬টি উইকেট।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply