পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে যে ফলের কথা সেই ত্বীন এখন চাষ হচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটিতে। বরেন্দ্রর রুক্ষ লাল মাটিতে চাষ হয়েছে ত্বীন ফল বা মরুর ডুমুর। পরীক্ষামূলক চাষ শুরুর পর থেকে স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা আশাবাদী করে তুলেছে চাষীকে।
হাজার টাকা কেজি দরে পুষ্টি ও ঔষধি গুণসমৃদ্ধ এই ফল কিনছে মানুষ। তবে স্থানীয় আবহাওয়ায় আরবের এই ফলের চাষ কতটা বিস্তৃত করা যাবে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় কৃষি বিভাগ।
গোদাগাড়ী উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের রকিবুল আলম রাজুর হাত ধরে এ অঞ্চলে চাষের গোড়াপত্তন। চারা রোপণের ছয় মাস পর পেয়েছেন পরিপক্ব ফল, করছেন বাজারজাত। অভিজ্ঞতার আলোকে তার দাবি, শুষ্ক ও শীতপ্রধান দেশে ভালো হলেও রাজশাহীর নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতেও এই ফলের উৎপাদন সম্ভব।
ত্বীন গাছের কাণ্ড নরম, পাতলা ও দ্রুত বর্ধনশীল। উচ্চতার চেয়ে প্রস্থে বড় হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ফল ধরে আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত। বছরে ফল হয় একটি গাছে ২৫ কেজি, যা অব্যাহত থাকে প্রায় ৩০ বছর।
এই ফলে ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে প্রায় সব রকমের জরুরি পুষ্টিগুণ। রয়েছে ঔষধি গুণও। যদিও ত্বীন চাষ কতটা বিস্তৃত করা সম্ভব তা নিয়ে চলমান গবেষণার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে কৃষি বিভাগ।
ত্বীন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম ফাইকাস কারইকা। ইংরেজিতে দ্য ফিগ আর উর্দু, ফারসি, হিন্দি ও মারাঠি ভাষায় পরিচিতি আঞ্জির নামে।
Leave a reply