নিজে ক্রিকেট খেলেছেন লাল সবুজের জার্সি পরে, এখন দায়িত্ব পালন করছেন প্রিমিয়ার ডিবিশন ক্রিকেটের ক্লাব লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বোলিং কোচ হিসেবে। বিকেএসপির ছাত্র ছিলেন। জাতীয় দলে সার্ভিস দিয়েছেন প্রায় ১০ বছর। ৩৮ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট। বলা হচ্ছে হবিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন রিন্টুর কথা। টেস্ট খেলেছেন দুটি যেখানে তার শিকার ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন চারবার, উইকেট ১টি। বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ২০১৮ সালে, এখন তার লক্ষ্য ক্রিকেটার তৈরি করে দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখা। হবিগঞ্জকে খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন সেখানকার আরেক সন্তান ব্যারিস্টার সুমনও। এবার জুটি বাঁধলেন তারা; মিশন- হবিগঞ্জকে ‘খেলাধুলার রাজধানী’ হিসেবে গড়ে তোলা।
সেই ইচ্ছা বাস্তবায়নেই সিলেটের চুনারুঘাটে গড়ে নাজমুল গড়ে তুলেছেন একটি ক্রিকেট একাডেমি। ব্যারিস্টার সুমনের ফুটবল একাডেমিতেই আপাতত শুরু হবে নাজমুল হোসেন ক্রিকেট একাডেমির কার্যক্রম। নাজমুল হোসেনের প্রত্যাশা এই একাডেমির খেলোয়াড়রাই একদিন জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে এবং সেটা অবশ্যই আগামী ৫ বছরের মধ্যেই।
নাজমুল বলেন, আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল নিজের একটা ক্রিকেট একাডেমি করার। তবে এবার ব্যারিস্টার সুমন ভাইয়ের সহযোগিতায় আপাতত শুরুটা করতে পেরেছি। সেজন্য তাকে জানাই ধন্যবাদ। আশা করি দু’জন মিলে সিলেট থেকে বড় মাপের ক্রিকেটার তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবো।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সুমনের বক্তব্য, আমার এলাকায় ফুটবল একাডেমির কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন সময় মানুষ আমাকে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করে আসছিলো। তারপর ক্রিকেট একাডেমি নিয়ে চিন্তা করা শুরু করি, নাজমুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে ক্রিকেট একাডেমি নিয়ে কাজ করা শুরু করি। এবং আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই একাডেমির পথ চলা শুরু হয়। যেহেতু নাজমুল হোসেন এই এলাকারই সন্তান সেহেতু এই অঞ্চলের ক্রিকেটের উন্নয়ন হবে বলে বিশ্বাস করি। এবং চুনারুঘাটকে ‘খেলাধুলার রাজধানী’ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে চাই আমরা দু’জন মিলে।
এখন দেখার বিষয় সিলেটের এই দুই জনপ্রিয় দুই সন্তান সেখানকার ক্রিকেটে কতটা নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারে।
Leave a reply