নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
৩৩৩ জাতীয় হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তা চেয়ে হয়রানি করার অভিযোগে শাস্তি হিসেবে ১০০ গরীব পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া ব্যক্তিকে খরচ করা টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসক। একই সাথে ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম বেপারীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (২৩ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চত হওয়া গেছে ৩৩৩ জাতিয় হট লাইনে কল দিয়ে খাদ্য সহায়তা চাওয়া ফরিদ আহমেদ চারতলা বাড়ির পুরোটার মালিক নন। চারতলা বাড়ির মালিক ছয় ভাই ও এক বোন। তিনি বাড়ির মাত্র তিনটি রুমের মালিক। যে কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আজ রোববারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে যে টাকা খরচ হয়েছে তা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একইসাথে এই ঘটনা কেন ঘটলো, কি কারণে ঘটলো তা খুঁজে বের করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফরিদ আহমেকে কোন তহবিল থেকে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, কোন একটি কল্যাণ ফান্ড থেকে এই টাকা ফেরত দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার জাতীয় হটলাইন নম্বর ৩৩৩ ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের দেভোগ এলাকার ফরিদ উদ্দিন। খাদ্য সহায়তা করতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন জানতে পারেন সাহায্য চাওয়া ওই ব্যক্তি চার তলা বাড়ির মালিক এবং তিনি হোসিয়ারী কারখানার মালিক। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আরিফা জহুরা ৩৩৩ ফোন করে অযথা হয়রানি ও সময় নষ্ট করার দায়ে তাকে শাস্তি হিসেবে ১০০ গরীব লোককে খাদ্য সহায়তা করার নির্দেশ দেন।
Leave a reply