আমি অবশ্যই সাংবাদিকতা করে যাবো। জামিনে কারামুক্তির পর যমুনা টেলিভিশনকে জানান রোজিনা ইসলাম। তার পাশে থাকার জন্য সাংবাদিক সমাজ ও দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। এ সময় খুব বিধ্বস্ত ছিলেন রোজিনা।
রোববার বিকেল গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এর আগে, রোববার (২৩ মে) সকালে পাঁচ হাজার টাকায় বেলবন্ডের বিনিময়ে শর্তসাপেক্ষে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। শর্তানুযায়ী, আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে।
গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তার জামিন শুনানি হয়। ওইদিন জামিন না দিয়ে নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেওয়ার কথা জানান আদালত।
গত সোমবার (১৭ মে) প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শাহবাগ থানা থেকে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর তাকে আদালতে তোলা হয়। এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। পরে আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করলেও সেদিন জামিন পাননি রোজিনা।
Leave a reply