ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও বের হচ্ছে জঙ্গিদের পঁচা-গলা মরদেহ। খোলা আকাশের নিচেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মৃৃতদেহ। বাতাস ভারি হয়ে আছে লাশের গন্ধে।
এমন বিভৎস পরিবেশে আইএস-এর পতনের ৭ মাস পরও ভিটেমাটিতে ফিরতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। মহামারি ছড়ানোর আশঙ্কা করছে শহর কর্তৃপক্ষ।
অন্য কোনো উপায় না থাকায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই নতুন করে জীবন শুরু করছেন এখানকার বাসিন্দারা। সরকারি বা আন্তর্জাতিক সহায়তার অপেক্ষায় না থেকে স্থানীয় উদ্যোগেই শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ। শহরকে পুরনো চেহারায় ফেরানোর স্বপ্ন মসুলের বাসিন্দাদের।
ইরাকে জঙ্গীগোষ্ঠী আইএস এর সবচেয়ে শক্ত ঘাঁটি ছিল মসুল। গত বছরই ইরাকের সরকারি বাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তবে,ভয়াবহ লড়াইয়ের সাক্ষী এই শহরটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মসুল পৌরসভার প্রধান আবদেল সাত্তার আল হিব্বু বলেছেন, “ধ্বংসাবশেষ আর মানুষের হাড়গোড় ছাড়া আইএস আমাদের জন্য কিছুই রাখেনি। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর স্তুপের নিচে এখনও শত শত মরদেহ চাপা পড়ে আছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তবে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর সহায়তা পেলে আরও দ্রুত পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।”
আইএসের প্রায় তিন বছরের তাণ্ডবে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী মসুলের সাধারণ বাসিন্দারা। জঙ্গিদের পরাজয় হলেও, ভীতি কাটেনি অনেকেরই।
কাটবেই বা কীভাবে? মসুল অভিযানে কত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, তার সঠিক হিসাব নেই কারও কাছে। তবে, স্থানীয় প্রশাসন বলছে সাত মাস পরেও মরদেহের সন্ধান প্রমাণ করে যে জঙ্গিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগেকার করা ধারণার চেয়েও বেশি।
যমুনা অনলাইন: এনপি/এফএইচ
Leave a reply