ময়মনসিংহ ব্যুরো:
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই দফতরিকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে বলে জানান গফরগাঁও উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সবুজ মিয়া। এই শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত চাইলে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে এবং পুনরায় তদন্তের দাবি করতে পারবে। তবে এজন্য তাকে শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে হবে।
তবে অভিযুক্ত ওই দফতরির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, জমি নিয়ে বিরোধ থেকে পরিকল্পিতভাবে প্রধান শিক্ষক নীলুফা খানম অভিযোগটি সাজিয়েছেন। রোববার (৩০ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অভিযুক্ত রাকিবের স্বজনরা।
ওই সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত রাকিবের প্রতিবেশি মো. ফেরদৌস দাবি করেন, দফতরি রাকিব খান ও প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম সম্পর্কে আপন চাচাত ভাই-বোন। এছাড়াও ঘটনার সঠিক তদন্ত না করেই রাকিব খানকে চাকুরিচ্যুত করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্ত দফতরির পরিবারের এ দাবিকে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক নীলুফা খানম বলেছেন, রাকিবের সাথে তার জমিজমা নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। পারিবারিক ইস্যু হিসেবে চালিয়ে দিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি তার।
অভিযুক্ত রাকিবের পরিবারকে মাদক ব্যবসায়ী দাবি করে নীলুফা খানম বলেছেন, মামলা তুলে না নিলে ওরা আমার পরিবারের ক্ষতি করবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছি।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাধারণ ডায়েরি প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত দফতরি রাকিবের জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছে, শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
Leave a reply