একটি সেতুর অভাবে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল নীবনগরের ১০ টি গ্রামের মানুষের। বর্ষায় নৌকা আর শুকনা মৌসুমে সাঁকো-ই এতকাল ভরসা ছিল এ পথে। অবশেষে দুঃখ ঘুচেছে। তবে সরকারি কোনো উদ্যোগে নয়। রাসুল্লাবাদের সাবেক শিক্ষার্থীরা নিজেদের অর্থায়নে তিতাস নদীর উপর নির্মাণ করেছেন ২শ’ ফুট দীর্ঘ কাঠের সেতু।
এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নির্মিত এ ব্রিজে লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীর।
স্বাধীনতার পর থেকে তিতাসের ওই এলাকায় একটি স্থায়ী সেতুর দাবি ছিল স্থানীয়দের। কিন্তু দাবি পুরণ না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে মানুষের মধ্যে। জনপ্রতিনিধিদের কাছে ও সরকারি অফিসে বহু ধর্ণা দেয়ার পর কোনো ফল না হওয়ায় নিজেরাই সামর্থ্য অনুযায়ী একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সম্প্রতি শেষ হয় এটির কাজ।
এখন অবশ্য জনপ্রতিনিধিদের টনক নড়েছে। রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ আলী আকবর জানালেন, স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। দ্রুতই কাজ শুরু হওয়ার আশা তার।
উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, তরুণ চাইলে কী করতে পারে এই ব্রিজ তারই একটা ছোট্ট নিদর্শন।
Leave a reply