জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের। নিবন্ধন সম্পন্ন করে টিকা নিয়েছেনও অনেক শিক্ষার্থী। প্রশাসনের স্বাক্ষরিত নিবন্ধন-আহ্বান করে প্রকাশিত নোটিশের প্রমাণও রয়েছে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, যদি শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়ে থাকে, তবে তারা অনৈতিক কাজ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের এমন দাবিতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এটি স্পষ্ট মিথ্যাচার। প্রকাশ্য একটি ঘটনাকে অস্বীকার করে তারা নিজেদের নৈতিকতার স্খলনই সবার সামনে নিয়ে আসছেন।
শুক্রবার (৪ জুন) জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিকা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ‘অনৈতিক’ বলা বক্তব্যকে যদি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে আমরা রেজিস্ট্রারকে এ জন্য কঠোর জবাবদিহি করতে বাধ্য করবো।
এছাড়াও অবিলম্বে সকল বৈধ শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সোহানূর রশীদ মুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ইমারত নির্মাণে দুর্নীতি বাধাগ্রস্ত হবে বলেই প্রশাসন চায় না, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসুক। তাই বিশ্ববিদ্যালয় না খোলার জন্য দিনের আলোর মতো স্বচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে মিথ্যাচার করছে তারা। এমনকি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর এ এ মামুন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চলমান ইমারত নির্মাণ শেষ হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে, এমনটা জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন মুন।
তাছাড়া নামমাত্র স্বায়ত্বশাসিত হলেও স্বায়ত্বশাসনের ন্যূনতম বৈশিষ্ট্যেরও অভাব রয়েছে বলেই তারা বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই শিক্ষার্থী।
Leave a reply