করোনার কারণে হোটেল-রেস্টুরেন্টের ভেতরে অর্ধেক গ্রাহককে সেবা দেয়ার অনুমতি দেয়া হলেও বেশিরভাগই তা মানছে না। খাবার সরবরাহকারী বা ক্রেতা বেশিরভাগই পরেন না মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্য হোটেল মালিকরা দুষছেন গ্রাহকদের। তারা বলেছেন, ভিড় করে একসঙ্গে বসলে কিছু করার থাকে না। আর স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নজরদারির ঘাটতি আছে বলে কর্তৃপক্ষকে দুষছেন ক্রেতারা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। চালু ছিল শুধু পার্সেল। সর্বশেষ ঘোষিত বিধিনিষেধে হোটেল-রেস্টুরেন্ট চালুর সুযোগ দেয় সরকার। তবে শর্ত দেয়া হয় সক্ষমতার অর্ধেক গ্রাহক ভেতরে বসে খেতে পারবেন। আর মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
দুরত্বের বালাই নেই। খাওয়ার আগে ও পরে মাস্ক ব্যবহার কিছুতেই যেন মানা হচ্ছেনা। খাবার সরবরাহকারীরাও বেশিরভাগই ব্যবহার করছেন না মাস্ক।
আবার খানিকটা ভাল চিত্রও আছে। বড় ও নামি ব্র্যান্ডগুলো চেষ্টা করছে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার। কিন্তু কখনও কখনও গ্রাহকরা স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি না মানায় তাদের পেতে হয় বেগ।
রেস্টুরেন্টের মালিকরা বলছেন, সবাই একই সময়ে আসে বলে ৫০% গ্রাহককে বসানো কঠিন হয়ে যায়। তারা নিজেরাই বিধিনিষেধ মানতে চান না বলে হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিকদের তেমন কিছুই করার থাকে না।
হোটেল-রেস্টুরেন্টে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নিশ্চিত করতে হবে নজরদারি। বিধি না মানলে জরিমানার করার পরামর্শও অনেকের। বড় বড় রেস্টুরেন্টে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা উচিত বলেও মত দেন কয়েকজন গ্রাহক।
মালিক সমিতির তথ্য বলছে, রাজধানীতে প্রায় আট হাজার রেস্তোরা আছে। করোনার কারনে কিছু বন্ধও হয়ে গেছে।
Leave a reply