কোভিড ১৯ এর টিকা ব্যবস্থাপনার প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘাটতি আছে, নিশ্চিত করা হয়নি সুশাসন। ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে, টিকা দেয়ার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নাই। গবেষণা প্রতিষ্ঠান টিআইবি’র সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। সকালে অনলাইনে এবিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
গবেষণার বরাত দিয়ে আরও জানানো হয়, কোভিড ১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় গেলো ৫ মে থেকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে শুরু থেকেই সেটি ছিলো অপরিকল্পিত। কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা, আর মানুষের উদাসীনতায় চলতি মাসে কোভিডের আরেকটি ঢেউ আঘাত হানতে পারে। টিআইবির সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
আজ সকালে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে তুলে ধরা হয় গবেষণার ফলাফল। ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলা: কোভিড ১৯ টিকা ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে গবেষণাটি পরিচালনা করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান টিআইবি। বলা হচ্ছে, কোভিড মোকাবেলায় নেওয়া উদ্যোগের প্রতিটি ক্ষেত্রে ছিলো ঘাটতি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিকা ক্রয় থেকে শুরু করে জনসাধারণকে টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে পরিকল্পনার অভাব ছিলো। প্রতিটি পর্যায়ে টিকা পৌঁছে দেয়া নিয়ে তাই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোভিড ব্যবস্থাপনায় যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিলো সরকার।
কোভিড ব্যবস্থাপনায় অপচয় ও দুর্নীতির কথাও এসেছে টিআইবির এ গবেষণায়। বলা হচ্ছে, গেলো এক বছরে হওয়া দুর্নীতির অভিযোগগুলো আমলে নেয়নি সরকার।
কোভিড ১৯ এর ভ্যাক্সিন ও ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের ঘাটতি নিরসনে ১৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে টিআইবির পক্ষ থেকে।
Leave a reply