বুধবার সকালে গণমাধ্যমকে দেওয়া বয়ানে নুসরাত একাধিক অভিযোগ আনেন নিখিলের বিরুদ্ধে। তাদের বিয়ে কে বৈধ বলে মান্যতা দিতেও অস্বীকার করেন অভিনেত্রী। ৬ মাসের ব্যবধানে সামনাসামনি আসেন না নুসরাত জাহান ও নিখিল জৈন। এক সময়ে যাদের ইনস্টাগ্রাম ভরে থাকত ‘দাম্পত্য’র প্রতি মুহূর্তের ছবিতে।
এ বিষয়ে নিখিল গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, যে দিন জানলাম নুসরাত আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, অন্য কারও সঙ্গে থাকতে চায় সে দিনই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছি আমি। যেহেতু ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়নি তাই অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে আলাদা হবো। আগামী জুলাই মাসে আদালতে এই মামলার শুনানি বলে জানিয়েছিলেন নিখিল।
এই প্রসঙ্গে নুসরাত বললেন, আমি আর নিখিল লিভ-ইন করেছি। আইনের চোখে এটা বিয়েই নয়। ফলে বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠেই না। এর মাধ্যমে অভিনেত্রী ও সাংসদ বুঝিয়ে দিলেন, আদালতে গিয়ে আলাদা করে বৈবাহিক সম্পর্ক ছেদ করার নিয়ম পালনের প্রয়োজন নেই।
নিখিল এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, নুসরাতের বোন নুজহতের পড়াশোনার খরচ অনেক সময়েই তাকে বহন করতে হয়েছে। এমনকি নুসরাতের পরিবারকে নিজের পরিবার মনে করে অনেক বার সাহায্য করেছেন নিখিল। তিনি আরও বলেন, নুসরাত বহু দিন ধরে আমার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছে।
এ প্রসঙ্গে নুসরাত বলেন, আমি বরাবর আমার বোনের পড়াশোনার এবং পরিবারের সমস্ত খরচ একা হাতে বহন করেছি। এছাড়া নিখিলের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছেন নুসরাত।। বলেন, আমি কোনোদিন কারও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করিনি। কিন্তু যিনি নিজেকে ধনী বলে দাবি করছেন এবং আমি তাকে ব্যবহার করছি বলছেন, তিনি অবৈধভাবে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন। এমনকি, আমাদের বিচ্ছেদ হওয়ার পরও নিখিল আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন। বিষয়টি আমি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং শীঘ্রই পুলিশের দ্বারস্থ হবো।
নুসরাত আরও জানিয়েছেন, তার ব্যাগ জামাকাপড়, গয়না এখনও নিখিলের বাড়িতেই রয়েছে।
অভিনেত্রী জানান, এর আগে তিনি কোনও দিন নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সামনে আনেননি। এমন কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে তিনি কথাও বলতে চান না যে তার জীবনের অংশই নয়। তার বিশ্বাস, যারা ‘সাধারণ মানুষ’, তারা এমন কোনও বিষয় নিয়ে চর্চা করেন না যেখানে তারা জড়িত নন।
নুসরাতের এই বিবৃতি প্রসঙ্গে নিখিল বলেন, আমি যা বলার আদালতে গিয়ে বলবো। নুসরাতের এই বিবৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে আর একটা কথাও বলবো না।
এনএনআর/
Leave a reply