রোহিঙ্গাদের করোনা টিকা দেয়ার তাগিদ দিচ্ছে জাতিসংঘ। তবে টিকায় যে বাংলাদেশিরাই অগ্রাধিকার পাবে, সেটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র সচিব বলছেন, জাতিসংঘের উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্ত করে কোভিড টিকা আনা হলে তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি জানান, গত কয়েকদিনে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পরীক্ষার বিপরীতে এই হার ১৫ শতাংশ হয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সরকার।
মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা প্রায় তের লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস কক্সবাজারে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে চাইলেও স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব হচ্ছে না। ক্যাম্পগুলোতে বেষ্টনী পুরোপুরি কার্যকর না থাকায় তারা মিশে যাচ্ছে স্থানীয়দের সাথেও।
করোনার প্রথম ঢেউয়ে সংক্রমণ খুব একটা না হলেও এবার তা বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। সংক্রমণের হার এরই মধ্যে ১৪/১৫ শতাংশে দাড়িয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ। তবে ইউএনএইচসিআর তাদের জন্য বিশেষ কোনো টিকা এনে দিলেই কেবল তা দেয়া সম্ভব বলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ। সরকার এই হার ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তবে ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ এখনও ধরা পড়েনি। বহুল আলোচিত এই প্রকল্পে নীতিগতভাবে যুক্তও হচ্ছে জাতিসংঘ। সরকার আশা করছে, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অর্থায়নেও দ্রুতই পাওয়া যাবে জাতিসংঘকে।
Leave a reply