দিনাজপুর প্রতিনিধি:
বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে দিনাজপুর জেলা কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তার নাম আবদুল হক। বয়স ৫২। স্ত্রী বেলী বেগমকে হত্যার দায়ে রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত তার ফাঁসির আদেশ হয়।
জানা যায়, ১০ বছরের সংসার জীবনে তারা নিঃসন্তান ছিল। পালিত এক কন্যাকে নিয়েই তাদের সংসার ছিল। আদেশের পর থেকে ২২ বছর সে জেলখানার ফাঁসির সেলেই ছিল। তার বাড়ী রংপুর জেলার মিঠাপুকুর গ্রামের ভক্তিপুর গ্রামে।কারা সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসি কার্যকর হওয়া আব্দুল হক রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে। আব্দুল হক ২০০২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে তার স্ত্রীকে হত্যা করে। ২০০৭ সালের ৩রা মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আব্দুল হককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। ২০০২ সালের ২৮শে আগস্ট থেকে আব্দুল হক কারাগারে বন্দি ছিলো।
ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন (বিপিএম) নিশ্চিত করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে মামলার বিস্তারিত জানা না গেলেও তাদের নিকট আত্মীয়রা জানান, রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ফাঁসির আদেশ দেন। গরীব কৃষকের পক্ষে মামলা চালানোর কেউ না থাকায় জেল কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করেন। উচ্চ আদালতে রায় বহাল থাকায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আবদুল হক রংপুর কারাগারে ছিল। গত ২২ জুন ফাঁসি কার্যকরের জন্য দিনাজপুর কারাগারে আনা হয়। অনেকের মতে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দিনাজপুরে এই প্রথম কোন ফাঁসি কার্যকর হলো।
ফাঁসি কার্যকরের সময় জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বিপিএম, সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুল কুদ্দুস, জেল সুপার, জেলার ও জেল ডাক্তার সঞ্চয় কুমার উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসি কার্যকরের পর আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে রাত ১ টা ১৪ মিনিটে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। রাত ১ টা ৪০ মিনিটে আবদুল হক এর মরদেহ নিয়ে আত্মীয় স্বজনেরা মিঠাপুকুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
জল্লাদ হিসাবে ফাঁসি কার্যকর করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ওবায়দুল। তাকে ৪ দিন আগে রাজশাহী কারাগার থেকে আনা হয়েছিল। দিনাজপুর জেলের ৪ জন আসামি তাকে সহায়তা করে।
Leave a reply