মুজিববর্ষে ঘর বরাদ্দের নামে ঠাকুরগাঁওয়ে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। ইউএনওর শ্যালক হওয়ায় বিধি ভেঙে তাকে দেয়া হয়েছে প্রকল্প তদারকির দায়িত্ব। তানবিন নামে ওই ব্যক্তি সুবিধাভোগী হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অপকর্ম জানাজানির পর থেকেই পলাতক তিনি। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মামলা করেছেন এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার। কিন্তু আসামির তালিকায় দেননি নিজের শ্যালকের নাম।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী হরিপুর উপজেলায় ৯৩৬টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঘর প্রতি নির্মাণ খরচ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এরইমধ্যে ৫৩৬টি নির্মাণ সম্পন্ন। বাকিগুলোর কাজ চলমান। তবে টাকা ছাড়া সুবিধাভোগীরা পাচ্ছেন না ঘর উপহারের ঘর।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইউএনওর শ্যালক হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তানবিন হাসান। ঘর পাইয়ে দেয়ার নামে বোকা বানিয়েছেন ভাতুরিয়া ও রামপুর গ্রামের হতদরিদ্রদের। হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। এমনকি টাকা নেওয়ার পরেও প্রকল্পের তালিকায় নাম না ওঠানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে।
গত ৮ জুন সহযোগীসহ রামপুর গ্রামে গেলে ভুক্তভোগী ক্ষুব্ধ জনতা চড়াও হয় তাদের ওপর। সহযোগীকে আটক করা হলেও পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ইউএনওর শ্যালক। আটক আবুল কালাম আজাদকে পুলিশে সোপর্দ করে ভুক্তভোগীরা।
এদিকে শ্যালককে নির্দোষ দাবি করে তার নাম বাদ দিয়ে ইউএনও মামলা করলেও, আটক কালাম দুর্নীতির পুরো দায় চাপিয়েছেন ইউএনওর শ্যালকের ওপর।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আওরঙ্গজেব বলছেন, পলাতক তানবিনকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
Leave a reply