পৌরসভায় সিইও নিয়োগ নিয়ে অস্বস্তিতে মেয়ররা; মন্ত্রণালয় বলছে, কাজে গতি আনতেই এ উদ্যোগ

|

পৌরসভায় প্রথম শ্রেণির প্রশাসন ক্যাডারের সিইও নিয়োগ নিয়ে অস্বস্তিতে মেয়ররা। যদিও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বলছে, পৌরসভার কাজে গতি বাড়ানো আর স্বচ্ছতা আনতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু মেয়রদের শঙ্কা আমলাতন্ত্রকে শক্তিশালী করতেই এই সিদ্ধান্ত। উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও’র মধ্যকার মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের পুনরাবৃত্তির শঙ্কাও করছেন পৌর মেয়ররা।

দেশের ৩শ ২৮টি পৌরসভার মধ্যে ‘ক’ শ্রেণির ১শ ৯৪টি পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের তোড়জোর শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি পৌরসভায় প্রশাসন ক্যাডারের সিইও নিয়োগের পর আরও দুটিতে নিয়োগ শুরু হয়েছে। যাদের বেতন দিতে হবে না পৌরসভাকে।

২০০৯ সালে স্থানীয় সরকার আইন সংসদের পাশ হওয়া এ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী স্থানীয় সংসদ সদস্যকে পৌরসভার উপদেষ্টা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুর পর মেয়রদের দাবির মুখে তা বাতিল করা হয়। এই ঘটনার একযুগ পর মেয়রদের সাথে আলোচনা ছাড়াই সিইও নিয়োগে প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ক্ষুব্ধ মেয়ররা।

মিনিউসিপ্যালিটি এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ প্রশ্ন তোলেন, সিইওদের এসিআর কে দিবেন মেয়র নাকি জেলা প্রশাসক? এমন জটিল প্রশ্নের সমাধান ছাড়াই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়াকে দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

অন্যদিকে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোর করে সিইও চাপিয়ে দিলে তাতে পৌরসভার উন্নতির সুযোগ কম।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে সোমবার মেয়রদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে জরুরি বৈঠক করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply