তিস্তা খননের মাধ্যমে দুই পাড়ে গড়ে তোলা হবে শিল্পনগরী: বাণিজ্যমন্ত্রী

|

রংপুর প্রতিবেদক:

হিমাগারে আলু সংরক্ষণের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেছেন, তিস্তা মহা পরিকল্পনার মাধ্যমে নদীর দুই পাড়ে শিল্প নগরী গড়ে তুলবে সরকার। এজন্য চীনকে সাথে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা ইতোমধ্যে অনেকদূর এগিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে রংপুর জেলা আড়তদার মালিক সমিতির সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এসময় সমিতির সভাপতি তবিবর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিয়ম করেন তিনি। এসময় তিনি স্থানীয় আলু ব্যবসায়ীদের কথা শোনেন এবং সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছর আলুর সংরক্ষনমূল্য বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। বছরের শুরুতেই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে দুই পক্ষকেই। দুই পক্ষই যদি চান ৫০ কেজির বস্তা সংরক্ষণ হবে না। তাহলে সেটা বাস্তবায়ন হবে। যেহেতু শুরুতেই দাম বৃদ্ধির বিষয়টি উভয়পক্ষই মেনে নিয়ে শুরু করেন। সেকারণে মাঝখানে এসে এ ব্যাপারে কথা বলায় জটিলতা তৈরি হয়। তবুও আমি বিষয়টি ডিসিদের বলে দিয়েছি। তারা উভয়পক্ষকে নিয়ে ভাড়া সমন্বয় করবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, তিস্তার দুই পাড়ে শিল্পকারখানা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য চীনের সাথে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। ইতোমধ্যে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। এই প্রকল্প শুরু হলে দুই পাড়ে শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে। যা এই অঞ্চলের অর্থনীতি বদলে দিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব টিপু মুন্সী আরও বলেন, তিস্তা খননের সময় দুইপাড়ে ওঠা বিপুল পরিমাণ বালি দিয়ে ইটের বদলে বালি-সিমেন্ট মিশ্রিত কংক্রিটের ইট তৈরি করা যায় কিনা সেটিও ভেবে দেখা হচ্ছে। সেই জন্য তিস্তার বালি পরীক্ষা করা হবে। এতে দেশে কংক্রিটের ইট নির্মাণ শিল্পের প্রসার ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এসময় নির্মাণাধীন ৫টি স্থলবন্দর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ পাঁচটি পয়েন্টে স্থলবন্দর করা হবে। যেখানে ভারত থেকে কেউ আসলে সেখানেই চেকিং ও কাস্টমস হবে। এতে ওইসব অঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যাবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন উত্তরবঙ্গের দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দৃষ্টি আছে। অচিরেই সবকিছু বদলে যাবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply