‘কার্ড প্রিন্ট হয়নি, ছয় মাস পরে আসুন’

|

লাইসেন্সের জন্য বারো লাখের বেশি মোটরযান চালকের অপেক্ষার প্রহর যেন শেষই হচ্ছে না। তারিখের পর তারিখ পড়ছে; প্রতি তারিখেই ‘কার্ড প্রিন্ট হয়নি ছয় মাস পরে আসুন’ এমন জবাব দেওয়া হচ্ছে।

স্মার্ট লাইসেন্সের এই ভোগান্তির জন্য বিআরটিএর অদূরদর্শীতাকে দুষছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে বলছেন, বিতর্কিত ভারতের মাদ্রাজ প্রিন্টার্সকে কাজ দেয়ায়ই এই ভোগান্তি। মামলা নিয়ে টেন্ডার পাওয়া বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার এক বছরেও যেতে পারেনি উৎপাদনে।

প্রতিদিনই বিআরটিএ অফিসে গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন লাইসেন্স প্রত্যাশীরা। এভাবেই কারও কারও মাস পেরিয়ে বছর কেটে গেছে। লাইসেন্স নেই বলে কেউ পাননি চাকরি কেউ বা হারিয়েছেন বিদেশ যাওয়ার সুযোগ। এই ভোগান্তির জন্য বিআরটিএ-কেই দুষছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন অনেক দূর থেকে বারবার আসলেও কোনোভাবেই লাইসেন্স অনুমোদনের কাজ শেষই হচ্ছে না। মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও মিলছে না লাইসেন্স। বিআরটিএর কাছে এই ‘আরও ছয় মাস’ হয়তো কারিগরি জটিলতার নাম। কিন্তু অনেকের কাছে জীবন-জীবিকার বিষয়।

শরীয়তপুর থেকে আসা আরিফ বলছেন, লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ চাচ্ছে ভিসার কপি আর ভিসার জন্য এজেন্সির দাবি লাইসেন্সের। এই দোটানার সমাধান মিলছে না তার।

বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শিতাংশু সরকার বিশ্বাস জানান, অনেক কাজ; আগের প্রতিষ্ঠান মাদরাজ আইটিকে ডাটাগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছে, সময় লাগবে।

কাজের অগ্রগতি জানতে ভারতে প্রতিষ্ঠানটির সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন জবাব দেয়নি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply