হৃদপিণ্ডে জন্মগত সমস্যা নিয়ে জন্মেছে দিনমজুর বাবার ঘরে। তাই অসুস্থতাকে সঙ্গী করেই পেরিয়ে গেছে ছয়টি বছর। শিশু জীবনের স্বাভাবিক উচ্ছ্বলতা নেই নুরজাহানের। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে নুরের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিলো তিন লাখ টাকা। সামর্থ্য না থাকায় হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন অসহায় বাবা-মা। তার মলিন হয়ে যাওয়া স্বপ্ন আর বাবা-মার হতাশার গল্প জানিয়েছিলো যমুনা টেলিভিশন।
সংবাদ দেখে নুরজাহানের চিকিৎসায় এগিয়ে আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। চলছে বিনা খরচে নুরজাহানের অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে করা হয়েছে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষাও। হতাশার অন্ধকার থেকে আলোর দেখা পেয়ে আশায় বুক বাধলেন বাবা-মা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, শিশুটির হার্টের ছিদ্রটি সারিয়ে তুলতে কাজ করবেন বাংলাদেশ ও ভারতের অভিজ্ঞ চিকিৎসক দল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্ষতটি পুরনো তবে সেরে ওঠার মতো। জটিল হলেও অপরাশেনে সফল হবেন বলেই আশা করছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এএসএম মোস্তফা।
ড. মোস্তফা জানান, বিএসএমএমইউ চিকিৎসকদের সহায়তায় সরকারিভাবে বহন করা হবে নুরজাহানের পুরো চিকিৎসার ব্যয়। নুরের অসুস্থতার মানবিক এই খবরটি প্রচার করে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় তিনি যমুনা টেলিভিশনকে ধন্যবাদ জানান।
Leave a reply