সাড়ে চার মাস আগে যখন দানবাক্স খোলা হয়েছিল, তখন মিলেছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এবার সে অংকও ছাড়িয়ে গেছে। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সাথে পাওয়া গেছে বিদেশি মুদ্রা আর স্বর্ণ ও রূপার অলঙ্কারও।
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। এ যেন টাকার সমুদ্র। সাড়ে ৪ মাস পর খুলেছে দানবাক্স। ৮টি লোহার বাক্সে মিলেছে ১২ বস্তা দেশি-বিদেশি মুদ্রা। আছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও রূপার অলঙ্কারও। মনের বাসনা পূরণ হবে, এমন বিশ্বাসে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কিশোরগঞ্জ শহরের পাগলা মসজিদে দান করেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ।
টাকা গোনা চলে দিনব্যাপী। জেলা প্রশাসন বলছে, এই টাকা মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এইখানে যে এতীমখানা আছে মসজিদ আছে সেখানে খরচ করা হয় এই টাকা। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ সমাজকল্যাণমূলক কাজে অনুদান হিসেবে ব্যয় হয়।
প্রায় আড়াইশ’ বছর আগে এক আধ্যাত্মিক সাধকের বাস ছিলো নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানের উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। সাধকের মৃত্যুর পর সেখানে গড়ে ওঠে একটি মসজিদ। যা ধীরে ধীরে পরিচিতি পায় পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে।
Leave a reply