ইউরোর এবারের আসর থেকে আয়ের সম্ভাবনা প্রায় ২১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে ফোর্বসের করা এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। যে টাকা দিয়ে কেনা যেতে পারে প্রায় ১৩ হাজার ফেরারি এফএক্সএক্স গাড়ি। শুধু তাই নয় এই টাকা দিয়ে করে ফেলা যেতে পারে আস্ত একটি পদ্মা সেতু।
এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১০ মিলিয়ন ইউরো। গ্রুপ পর্ব, নকআউট পর্বের বোনাস মিলিয়ে যে অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় ২৪ মিলিয়ন ইউরোতে। আর রানার্সআপ দল পাবে ৭ মিলিয়ন ইউরো। সাথে গ্রুপ পর্ব আর নক আউট পর্বে জয়ের বোনাসও থাকছেই। শুধু মূল আসরে কোয়ালিফাই করার জন্যই প্রতিটি দল পাবে ৯ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ইউরো।
তবে ২০১৯ সালের শেষ দিকে ফোর্বস যখন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে তখনও করোনা পৃথিবীতে হানা দেয়নি। বর্তমান করোনাকালীন বাস্তবতায় ফোর্বসের এই হিসেব মিলবে কি না তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা থেকেই যাচ্ছে।।
তবে ১৯৯২ সাল থেকে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আয়ের দিকে তাকালে আশান্বিত হওয়াই যায়। ১৯৯২ সালে মাত্র ২৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে আয় হয়েছিল ৪১ মিলিয়ন ইউরো। ১৯৯৬ সালে যে আয় ছাড়িয়ে গিয়েছিল তিনগুন। ২০০০ সালে ২২৯ মিলিয়ন, আর ২০০৪ সালে এই আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫৫ মিলিয়ন ইউরোতে। সবশেষ ২০১৬ ইউরোতে ৩৭১ মিলিয়ন ইউরো খরচ ধরা হলেও আয় অনেকগুন বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো ১৯১৬ মিলিয়ন ইউরোতে।
Leave a reply